সংক্ষিপ্ত
অভিযুক্ত অধ্যাপক সকলের সামনে নিজের এক সম্মানজনক ভাবমূর্তি তৈরি করে রেখেছিলেন, তাই ভয়ে কখনও প্রকাশ্যে তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেননি নির্যাতিত ছাত্রীরা।
ছাত্রীদের কাছে ডেকে যৌন হেনস্থা করতেন স্বয়ং কলেজের অধ্যাপক। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনে সরাসরি দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠালেন কলেজ -পড়ুয়ারা। ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার চৌধুরী দেবীলাল বিশ্ববিদ্যালয়ে । এই কলেজের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের কাছেও চিঠি পাঠানো হয়েছে ছাত্রীদের তরফে।
-
চিঠিতে অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ‘নোংরা ও অশ্লীল কাজের’ অভিযোগ করেছেন ছাত্রীরা। তাঁদের দাবি, উক্ত অধ্যাপক ছাত্রীদের নিজের অফিসে ডেকে পাঠান, তাঁদের একটি বাথরুমে নিয়ে যান, তারপর ‘প্রাইভেট পার্টস’ (গোপনাঙ্গ) স্পর্শ করেন এবং ‘অশ্লীল কাজ’ করেন। প্রতিবাদ করলে ওই অধ্যাপক তাঁদের ‘খুব খারাপ পরিণতি’ করে দেওয়ারও হুমকি দিতেন বলে অভিযোগ করেছেন পাঁচশোরও বেশি ছাত্রী।
-
অভিযোগকারীদের চিঠির অনুলিপি ভাইস চ্যান্সেলর ড. আজমের সিং মালিক, হরিয়ানার গভর্নর বান্দারু দত্তাত্রেয়, হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ, এবং জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন রেখা শর্মার কাছে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি চিঠির অনুলিপি পৌঁছেছে রাজ্য সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং নির্বাচিত মিডিয়া সংস্থাগুলির কাছেও।
চিঠিতে দাবি করা হয়েছে যে , ছাত্রীদের প্রতি এই অন্যায় আচরণ অনেক মাস ধরে হয়ে চলেছে এবং ছাত্রীরা অধ্যাপকের বিরুদ্ধে একেবারেই মুখ খুলতে পারেননি, কারণ, অভিযুক্ত ব্যক্তি সকলের সামনে নিজের এক সম্মানজনক ভাবমূর্তি তৈরি করে রেখেছিলেন, তাই ভয়ে কখনও প্রকাশ্যে তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলা সম্ভবপর হয়নি।
-
এই অভিযোগের ভিত্তিতে একটি বিশেষ তদন্ত দল (SIT) বিষয়টি তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হরিয়ানার অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিচালক শ্রীকান্ত যাদব বলেছেন, “আমরা অবিলম্বে আইপিএস অফিসার দীপ্তি গর্গের অধীনে এসআইটি গঠন করেছি। (SIT) বিবৃতি নিচ্ছে। এটি ইতিমধ্যে অনেক লোকের কাছ থেকে বিবৃতি নিয়েছে ।” SIT ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেছে এবং বক্তব্য নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।