সংক্ষিপ্ত

সকালে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে সেখানে স্থানীয় নদীর জলস্তর বেড়ে যায়। ফলে ম্যাকলেয়ড গঞ্জের ভাসু নাগে হড়পা বান দেখা দিয়েছিল। জল ঢুকে পড়ে শহরের মধ্যে। ভাসিয়ে নিয়ে যায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক গাড়ি। 

হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় সকাল থেকেই শুরু হয় মেঘ ভাঙা বৃষ্টি। আর তার জেরেই জলের তোড়ে ভেসে গেল একাধিক গাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু হোটেল ও বাড়ি।  

আরও পড়ুন- বাম-কংগ্রেস-তৃণমূলের প্রতিবাদেও হল না কাজ, সোমবার ফের পেট্রোলের দাম বাড়ল কলকাতায়

গত কয়েক দিন ধরেই হিমাচল প্রদেশে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আর সকালে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে সেখানে স্থানীয় নদীর জলস্তর বেড়ে যায়। ফলে ম্যাকলেয়ড গঞ্জের ভাসু নাগে হড়পা বান দেখা দিয়েছিল। জলের তোড় এতটাই বেশি ছিল যে তা শহরের মধ্যে ঢুকে পড়ে। ভাসিয়ে নিয়ে যায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক গাড়ি। সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করেছেন ম্যাকলেয়ডগঞ্জের স্টেশন হেড অফিসার বিপিন চৌধুরী। 

 

 

আর রাস্তা দিয়ে জলের স্রোত বয়ে যাওয়ার ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বেশ কিছু বাড়ি ও হোটেলে। অনেক ঘর ও হোটেল ভেঙে পড়েছে। বেশ কিছু বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। 

আরও পড়ুন- প্রবল বজ্রপাত মৃত্যু ৬৮ জনের, নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানালেন প্রধানমনমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

ধর্মশালায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পাশাপাশি সিমলার ঝাকরির রামপুরেও প্রবল বৃষ্টির জেরে জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। 

দেশে করোনা সংক্রমণের গতি এখন অনেকটাই নিম্নমুখী। আর এই পরিস্থিতিতে পর্যটন শিল্পের উপর ভর করে ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছিল হিমাচলপ্রদেশ। পর্যটকদের দেখাও মিলছিল। আর ঠিক সেই সময় এই মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ফলে আবার একটা নতুন ধাক্কা খেল সেখানকার পর্যটন শিল্প। 

আরও পড়ুন- 'ব্যস্ত' থাকায় রবিতে দিলীপকে সময় দিতে পারেননি নাড্ডা, সোমে হতে পারে বৈঠক

এদিকে আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী কিছু দিন হিমাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ১২ ও ১৩ জুলাই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জায়গায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।