সংক্ষিপ্ত
২ ঘন্টা আগেই তারা সংসদীয় এস্টিমেট কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ছিলেন। তারপর একজন বিমান চালালেন, আরেকজন হলেন যাত্রী।
সংসদীয় এস্টিমেট কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিয়ে দিল্লি থেকে চেন্নাই ফিরছিলেন সাংসদ। ক্রুরা ঘোষণা করলেন বোর্ডিং প্রক্রিয়া শেষ, অর্থাৎ যাত্রীরা সকলে উঠে পড়েছেন। সাংসদ বসেছিলেন প্রথম সারিতে। ঘোষণা শেষ হতেই ক্যাপ্টেনের উর্দি পরা এক ব্যক্তি তার দিকে এদিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলেন, আপনিও এই বিমানেই যাচ্ছেন? তার মুখের অর্ধেক মাস্কে ঢাকা, গলাটা খুব চেনা হলেও সেই ব্যক্তিকে প্রথমেই চিনতে পারেননি ওই সাংসদ। কয়েক সেকেন্ড পরেই তিনি বুঝতে পারলেন, আরে, এই ব্যক্তি তো মাত্র দুঘণ্টা আগে তাঁর সঙ্গেই একেই কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন! এও কি সম্ভব?
হ্য়াঁ, এরকম অসম্ভব ঘটনাই ঘটেছে ডিএমকে দলের সাংসদ দয়ানিধি মারানের জীবনে। গত শুক্রবার, ৯ জুন দিল্লি থেকে চেন্নাই ফেরাটাকে তিনি 'স্মরণীয় উড়ান' বলেছেন। কেন স্মরণীয়? কারণ সেই বিমানটি ওড়ানোর দায়িত্ব ছিল যে ক্যাপ্টেনের, তিনি আর কেউ নন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ রাজীব প্রতাপ রুডি। টুইটারে ঘটনাটি সবিস্তারে জানিয়ে দয়ানিধি মারান বলেছেন, 'একজন রাজনীতিবিদ থেকে পাইলট হিসাবে তাঁর রূপান্তর দেখে আমি নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারিনি।'
সাংসদ তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রুডি কিন্তু, মাঝে মধ্যেই বিমান উড়িয়ে থাকেন। বিহারে দারভাঙ্গা বিমানবন্দর চালু হওয়ার পর, গত ৫ জুলাই তিনি কলকাতা থেকে ইন্ডিগোর প্রথম বিমানটি নিয়ে দারভাঙ্গায় পৌঁছেছিলেন। গত দশ বছরে তিনি রাফাল, সুখোই-সহ একাধিক যুদ্ধবিমানও চালিয়েছেন। এক সাক্ষাতকারে রুডি জানিয়েছিলেন তিনি 'একজন এয়ারবাস এ ৩২০ পাইলট'। এই বিশেষ এই লাইসেন্স ধরে রাখতে তাঁকে একটি বিশেষ ধরণের বিমান একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ওড়াতে হয়। এই কারণেই ইন্ডিগো সংস্থার সঙ্গে এক বিশেষ চুক্তি অনুসারে তাদের সংস্থার কেকটিউড়ান পরিচালনা করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
আরও পড়ুন - মৃত্যু উপত্যকা আফগানিস্তান - তালিবানি গুলিতে নিমেষে ঝাঁঝরা ২২ কমান্ডো, ভাইরাল হল ভিডিও
আরও পড়ুন - দলে আরও গুরুত্ব বাড়ল পীযূষ গয়ালের, রাজ্যসভায় বিজেপিকে নেতৃত্ব দেবেন তিনিই
আরও পড়ুন - লাল আলোটা দপদপ করছিল, সীমান্তের কাছেই - বিএসএফ গুলি করতেই উড়ে গেল পাকিস্তানে
রুডি আরও জানিয়েছেন, তিনি বিমান ওড়াতে খুবই ভালবাসেন। বিজেপি দলের শীর্ষ নেতৃত্বেরও তাঁর এই বিমান ওড়ানো নিয়ে কোনও সমস্য়া নেই, বরং রুটিকে তাঁরা সমর্থনই করেছেন। মজার বিষয় হল, অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের আমলে, ২০০৩-২০০৪ সালে প্রায় এক বছরের জন্য তিনি অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার আগে তিনি ছিলেন বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী।