সংক্ষিপ্ত
- একধাক্কায় তিনটি ট্রেনের খাবারের দাম বাড়ালো রেল মন্ত্রক
- দাম বাড়ল দুরন্ত, শতাব্দী এবং রাজধানীতে
- চা থেকে দুপুরের খাবার, দাম বাড়ল সবকিছুরই
এবার থেকে রাজধানী, দুরন্ত বা শতাব্দী এক্সপ্রেসে উঠে এক কাপ চা খাওয়ার ইচ্ছে হলেই ন্যূনতম ১৫ টাকা খসাতে হবে যাত্রীদের। শুধু চা বা কফি নয়, রেল যাত্রীদের পকেটে চাপ বাড়িয়ে এই প্রিমিয়াম এবং দ্রুত গতির ট্রেনগুলিতে খাবারের দামও একধাক্কায় অনেকটা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রক। ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিয়েছে আইআরসিটিসি।
নতুন এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে রাজধানী, শতাব্দী বা দুরন্ত প্রথম শ্রেণিতে এক কাপ চায়ের দাম পড়বে ৩৫ টাকা। যা আগের তুলনায় ছ' টাকা বেশি। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির এসি-তে দাম পড়বে ২০ টাকা করে। আগে যার জন্য যাত্রীদের দিতে হতো ১৫ টাকা। আর দুরন্তর স্লিপার শ্রেণিতে এক চাপ চা খেতে গেলে দিতে হবে ১৫ টাকা।
চায়ের মতোই খাবারের দামও অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। প্রথম শ্রেণিতে প্রাতরাশের দাম পড়বে ১৪০ টাকা করে। আগে যা ছিল ১৩৩ টাকা। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণিতে আট টাকা বাড়িয়ে দাম করা হয়েছে ১০৫ টাকা। মধ্যাহ্নভোজ করতে গেলে এই তিনটি ট্রেনের প্রথম শ্রেণিতে দাম পড়বে ২৪৫ টাকা। এক্ষেত্রে এক ধাক্কায় ১৫ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণিতে দশ টাকা বেড়ে দাম দাঁড়াবে ১৮৫ টাকা। বিকেলের চা খেতে গেলে প্রথম এবং দ্বিতীয়, তৃতীয় শ্রেণিতে যথাক্রমে ১৪০ এবং ৯০ টাকা করে দাম পড়বে।
আরও পড়ুন- ইঞ্জিন ছাড়াই দশ কিলোমিটার ছুটল মালগাড়ি, দেখুন সেই ভিডিও
আরও পড়ুন- সুবিধে দিয়ে যাত্রী টানার কৌশল, অক্টোবরেই ব্যাপক লাভ প্রথম বেসরকারি ট্রেনের
অন্যদিকে দুরন্তর স্লিপার শ্রেণিতে প্রাতরাশের দাম পড়বে ৬৫ টাকা করে। দুপুর ও রাতের খাবারের জন্য ১২০ টাকা করে দিতে হবে যাত্রীদের। আর বিকেলের চায়ের জন্য দিতে হবে ৫০ টাকা।
রেল মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রেলের টিকিট কাটার স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মধ্যে নতুন এই খাবারের দাম যোগ করা হবে। যেদিন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে, তার থেকে ১২০ দিন পর থেকে এই দাম কার্যকর হবে।
আইআরসিটিসি-র বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, 'রেল মন্ত্রক ১৪ নভেম্বর রাজধানী. শতাব্দী এবং দুরন্তর মেনু এবং ক্যাটারিং পরিষেবার দাম পুনর্মূল্যায়ন করেছে। স্ট্যান্ডার্ড মিলের দামেরও পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে।' রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, আইআরসিটিসি-র থেকে পাওয়া অনুরোধ এবং রেলবোর্ডের মেনু এবং টারিফ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী দাম বাড়ানো হচ্ছে।