সংক্ষিপ্ত
- সংসদীয় ক্যান্টিনে খাবারের ওপর থেকে উঠে গেল ভর্তুকি
- জানিয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা
- এবার থেকে আসল দামেই কিনতে হবে খাবার
- সব খাবারের দাম বাড়বে বলেই সূত্রের খবর
সংসদের ক্যান্টিনে উঠে গেল খাবারের ওপর থেকে উঠে গেল ভর্তুকি। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সাংসদ ও অন্যান্য সদস্যরা এবার থেকে আর সাংসদের ক্যান্টিনে খাবারের ওপর কোনও ভর্তুকি পাবে না। দীর্ঘ দিন ধরেই নর্দান রেলওয়ে পার্লামেন্ট ক্যান্টিনটি পরিচালনা করত। এবার থেকে পরিচালনার দায়িত্ব পাচ্ছেন ইন্ডিয়া ট্যুরিজিম ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন। পিটিআই সূত্রের খবর সংসদীয় ক্যান্টিনে খাবারের ওপর ভর্তুকি উঠে যাওয়া. প্রায় ৮ কোটি টাকা বেশি সাশ্রয় হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার থেকে ক্যান্টিনে যে খাবার বিক্রি হবে তা আসল দামেই বিক্রি হবে। সংসদীয় ক্যান্টিনে মাত্র ৬৫ টাকায় পাওয়া যেত হায়দরাবাদি চিকেন বিরিয়ানি। এরাব থেকে সেই বিখ্যাত চিকেন বিরিয়ানির দামও বেড়ে যাবে। ২০১৫ সালে সংসদীয় ক্যান্টিনের খাবারে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছিল প্রায় ৮০ শতাংস। সেই খবর প্রকাশিত হওয়ার বেশ হৈচৈ হয়েছিল। একটা সময় সংসদীয় ক্যান্টিনে প্রায় ১৪ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছিল। যারমধ্যে কর্মীদের বেতন বাবদ দেওয়া হয়েছিল ১১-১২ কোটি টাকা।
'ছুটি কাটিয়ে ফিরেই' নাড্ডার প্রশ্নের সামনে রাহুল গান্ধী, চিন আর কৃষক আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন ...
পক্ষপাতিত্বের কথা আসছে কোথা থেকে, কৃষি আইন নিয়ে তৈরি কমিটি ইস্যুতে মন্তব্য প্রধান বিচারপতির ...
এই ক্যান্টিনের গ্রাহকদের একটা বড় অংশই লোকসভা অথবা রাজ্যসভার সদস্য অথবা মন্ত্রী। এছাড়াও সংসদীয় প্যানেলের সদস্যরা ক্যান্টিনের গ্রহক। যাঁরা অধিবেশন চলাকালীন সংসদে আসেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলি মাঝে মধ্যে সেখানে সভা বা সাংবাদিক সম্মেলন করেন। কিন্তু সংসদে খাবারের ওপর ভর্তুকি নিয়ে যখন গোটা দেশেই সমালোচনা শুরু হয়েছিল সেই সময় তৎকালীন স্পিকার সুমিত্রা মহাজনকে বিজেপির এক সংসদ বলেছিলেন খাবারের ওপর ভর্তুকির কারণে জনপ্রতিনিধিদের ওপর স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর আস্থা চলে যেতে পারে। ২০১৬ সালে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় কোনও লাভক্ষতির ভিত্তিতে ক্যান্টিন চালান হবে না। আস সেই সময়ও এখানকার খাবারের দাম বেড়ে যায়। মটন কারির দাম ২০ টাকা থেকে বেড়ে হয় ৪০ টাকা। ভেজ থালির দাম ধার্য করা হয় ৩৫ টাকা। আর আগে যে হায়দরাবাদি চিকেন বিরিয়ানি সাংসদরা মাত্র ১৮টাকায় কিনতেন তাও বেড়ে হয় ৬৫ টাকা। কিন্তু ভর্তুকি তুলে দেওয়ার পর খাবারের কী দাম ধার্য করা হবে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।