সংক্ষিপ্ত
বৃহস্পতিবার রাত ৯.৫১ মিনিটে দিল্লি এইমসের পক্ষ থেকে মনমোহন সিংয়ের প্রয়াত হওয়ার কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে তাঁকে এইমসে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই তিনি প্রয়াত হয়েছেন।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে শোক জানিয়ে দেশে সাতদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে। প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কন্যা আমেরিকা থেকে ফিরে আসার পরেই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে। শুক্রবারের সমস্ত সরকারি কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মনমোহন সিংয়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে। বৃহস্পতিবার রাত ৯.৫১ মিনিটে দিল্লির এইমসে মনমোহন সিংয়ের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে তাঁকে এইমসে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই তিনি প্রয়াত হন।
কংগ্রেসে শোকের আবহ
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আগামী সাতদিনের সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। মনমোহন সিংয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতিষ্ঠা দিবস-সহ কংগ্রেসের সমস্ত ঘোষিত কর্মসূচি আগামী সাতদিনের জন্য বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কে সি বেনুগোপাল। সমস্ত প্রতিবাদ কর্মসূচি এবং জনসংযোগ কর্মসূচিও এর অন্তর্ভুক্ত। ২০২৫ সালের ৩ জানুয়ারি থেকে দলীয় কর্মসূচি পুনরায় শুরু হবে।
রাজনীতিতে হঠাৎ আগমন
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দেশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেও, মনমোহন সিংয়ের রাজনীতিতে আগমন ছিল অপ্রত্যাশিত। ১৯৯১ সালে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরে আসার পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরসিংহ রাওয়ের নিয়োগ ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। দেশ যখন তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল, তখন বড় ধরনের সংস্কার ছাড়া দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতেই মনমোহন সিংয়ের উদয় ঘটে। পরে কংগ্রেস ক্ষমতা হারালে ১৯৯৮-২০০৪ সালে রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা হিসেবে মনমোহন সিংয়ের নিয়োগ তাঁর প্রতি দলের আস্থার প্রমাণ। পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও তিনি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ২০০৭ সালে সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ৯ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল দেশগুলির মধ্যে ভারত দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে। ২০০৮ সালের বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার সময়ও মনমোহন সিং-পি চিদম্বরম জুটি দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।