সংক্ষিপ্ত
বেশ কিছুদিন ধরেই হিংসায় বিধ্বস্ত মণিপুর। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার অনেক চেষ্টা করেও উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না।
গোষ্ঠী সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল মণিপুরের জিরিবাম জেলা। শনিবার ঘুমন্ত অবস্থায় গুলিতে একজন নিহত হন। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গুলির লড়াইয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জিরিবাম জেলা সদর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি বাড়িতে ঢুকে এক ব্যক্তিকে ঘুমন্ত অবস্থায় গুলি করে মারে জঙ্গিরা। ওই ব্যক্তি একাই বাড়িতে থাকতেন। তিনি খুন হওয়ার পর গোষ্ঠী সংঘর্ষ শুরু হয়। গুলির লড়াইয়ে চারজন সশস্ত্র ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাহাড়ের তিন জঙ্গিও আছে। এর আগে শুক্রবার বিষ্ণুপুরে রকেট হামলা চালায় জঙ্গিরা। এই হামলায় একজনের মৃত্যু হয় এবং ৬ জন জখম হন। এরপর চুরাচাঁদপুর জেলায় জঙ্গিদের তিনটি বাঙ্কার গুঁড়িয়ে দিয়েছেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
জ্বলছে জিরিবাম জেলা
কয়েকদিন আগেই জিরিবাম জেলার বোরোবেকরা থানা এলাকার জাকুরাধর অঞ্চলে এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারের পরিত্যক্ত বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় কয়েকজন সন্দেহভাজন 'গ্রাম স্বেচ্ছাসেবক'। যদিও উপজাতিদের সংগঠন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। ১ অগাস্ট অসমের কাছাড়ে সিআরপিএফ-এর কেন্দ্রে জিরিবাম জেলা প্রশাসন, অসম রাইফেলস ও সিআরপিএফ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মেইতেই, হামার, থাডু, পাইতে ও মিজো সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। তাঁরা শান্তি ফেরানো, অগ্নি সংযোগ ও গুলি চালানোর ঘটনা বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু জিরিবামের বাইরে হামার উপজাতি এই বৈঠকে হওয়া চুক্তির কথা অস্বীকার করে।
শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে নিরাপত্তারক্ষীরা
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা পাহাড়ি অঞ্চলে তল্লাশি চালাচ্ছেন। আকাশপথে তল্লাশি চালাচ্ছে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে প্রশাসন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
মোদীকে জোর টেক্কা! বন্যা বিধ্বস্ত অসম ও হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুর সফরে রাহুল গান্ধী
ফের উত্তপ্ত মণিপুর, তিন কুকিকে অপরহরণ মেইতেইদের-উদ্ধার এক মহিলার দেহ
স্বাধীনতা দিবসে কুকিদের প্রতিবাদ, ২ দশকের নিষেধাজ্ঞা ভেঙে সিনেমা দেখিয়ে মণিপুর সরকারকে চ্যালেঞ্জ