সংক্ষিপ্ত
'ফ্রম দ্যা ইন্ডিয়া গেট' 'From The India Gate'-র আজ ২২তম পর্বে রয়েছে রাজস্থান ও কেরলের রাজনীতির অন্দরের ঘটনা। বাবা ও ছেলের সম্পর্কের টানাপোড়েন।
ইন্ডিয়া গেট থেকেঃ রাজনৈতিক মহলে প্রকাশ্যে যেমন অনের কিছু ঘটে তেমনই পর্দার আড়ালেও অনেক ঘটনা ঘটে যায়। মতামত প্রকাশ থেকে ক্ষমতা দখলের খেলা- যার একটি রাজৈনিক ভিত্তি থাকে। এশিয়ানেট নিউজ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেই জাতীয় খবরগুলি আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরি।
ইন্ডিয়া গেট থেকেঃ এই খবরের মধ্যে থেকে অনেক সময় এমন খবর সামনে আসে যা রীতিমত মজার। যা রাজনৈতিক নেতাদের অন্দরমহলের খবর। 'ফ্রম দ্যা ইন্ডিয়া গেট' 'From The India Gate'-র আজ ২২তম পর্বে রয়েছে রাজস্থান ও কেরলের রাজনীতির অন্দরের ঘটনা। বাবা ও ছেলের সম্পর্কের টানাপোড়েন।
হ্যামলেটিয়ান দ্বিধা
স্বাগত জানাব নাকি জানাব না। করতালি দেব নাকি দেব না। বিরোধিতা করব নাকি করব না। কেরলের প্রথম সারির অ-বিজেপি রাজনৈতিক গলগুলির এই হ্যামলেটিয়ান দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে গিয়েছিল যখন বন্দে ভারত কেরলের ওপর দিয়ে গিয়েছিল।
তারা গোটা অবস্থাটাই নিরব দর্শকরের মত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছিল। বিভ্রান্ত হয়েছিল। বন্দে ভারত চারু করা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত সকলের কাছে বিষ্ময়কর ছিল। তবে বিজেপি কর্মীরা এর মধ্যে সর্বাধিক মাইলেড তৈরি করে ও থামানোর সমস্ত বড় স্টেশনমে ট্রেনটিকে শুভেচ্ছা জানায়। দিনটি শুভ দিন হিসেবেও তারা চিহ্নিত করেছিল। অন্যান্য দলগুলি বিরোধিতা করতে পারেনি কারণ দক্ষিণ এবং উত্তর কেরালার সাথে সংযোগকারী একটি দ্রুত ট্রানজিট ট্রেনের প্রয়োজন ক্রমবর্ধমানভাবে অনুভূত হচ্ছে। তারা কেউই ট্রেনটিকে স্বাগত জানাতে পারেনি কারণ এর অর্থ হবে কেরালার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর দেওয়া উপহারকে সমর্থন করা হবে, যেখানে বিজেপি কয়েকটি আসন জয়ের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
সিপিএম ও কংগ্রস নেতারা নীরব ছিল। কিন্তু আশ্চার্যজনক ছিল গেরুয়া পরিহত কমরেডের ফেসবুক পোস্ট। স্বামীজি একটি খামের পেছনের গণিত করার সিদ্ধান্ত নেন। যুক্ত দেন যে বন্দে ভারত বাস সরকরের প্রস্তাবিত সিলভাল লাইনের চেয়ে ব্যায় বহুল ব্যাপার। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ ও অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজের জন্য যে বিশাল খরচ - প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা- তার উল্লেখ করেও স্বামীজি সুবিধেজনকভাবে উপেক্ষা করেছিলেন। বন্দে ভারত আক্ষরিক অর্থেই অনেক রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্খাকে লাইনচ্যুত করেছে।
চুরির সমাধান করুন
ইস্পাত রড ভাঙা বা বাঁকানো তেমন সহজ কথা হয়। রাস্তার জাদুকররা কখনও কখনও পয়সার জন্য এই কীর্তি প্রদর্শন করে। কিন্তু তেলাঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রেশখর রাও এর ছেলে কেটি রামা রাও -র এই ধরনের প্রচেষ্টা তাঁর রাজনৈতিক অহংকার এমনতি ভারত রাষ্ট্র সমিতির অহংকারকেও শেষ করে দিয়েছে।
কেটিআর ভাইজ্যাগ স্টিল প্ল্যান্টে বিনিয়োগ করার জন্য কেন্দ্রকে তার পদক্ষেপ স্থগিত করতে জোর করে তা করার জন্য দাবি করতে ছুটে আসেন।
কেন্দ্রীয় ইস্পাত প্রতিমন্ত্রী ফাগ্গান সিং কুলস্তের একটি মন্তব্যের পরে যে কেন্দ্র ভাইজাগ স্টিল প্ল্যান্টের জন্য তার প্রস্তাবিক পরিকল্পনা স্থগিত রাখতে পারে, কেটিআর গর্ব করে বলেছিবেন এই সিদ্ধান্তটি কেসিআর-এর দেওয়া আল্টিমেটামের ফলাফল।
কেসিআর বলেছেন যে তার সরকার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সিঙ্গারেনি কোলিয়ারির কোম্পানির মাধ্যমে বিডিং প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে। কেসিআরের বৃক্তৃতা ফাগ্গান সিংয়ের আগের বিবৃতির সঙ্গে মিলে যায় যে কেন্দ্র অস্থায়ীভাবে বিনিয়োগের পদক্ষেপ আটকাতে পারে।
কিন্তু পিতা-পুত্র জুটির বুধ ধড়ফড় স্বল্পস্থায়ী ছিল। কেন্দ্র স্পষ্ট করে দিয়েছে এই বিনিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে। লাইমলাইট চুরি করার জন্য কখনই তাড়াহুড়ো করা হবে না।
মিডাসের স্পর্শ
বল্লারিতে তুঙ্গভদ্রা জলাধার থেকে অর্থ জলের মত প্রবাহিত হবে। এই ধরনের একটি প্রবাদ রয়েছে । যা নির্বাচনের সময় শোনা যায়। এই নির্বাচনের মরশুমে অনুমাব করা হয়েছে যে গণিনাডুতে (খনির জমি) তিনটি দলই মাঠে নামানো সুপার ধনী প্রার্থীদের প্রায় ৫০০ কোটি টাকা খরচ ববে।
কারণ সবাই লক্ষ্মীর বরপুত্র। আক্ষরিক অর্থে নির্বাচনের সময় পার্সের স্ট্রিং আলগা করার জন্য পরিচিত। স্টার্টাররা ইতিম্যধেই প্রেসার কুকার ও অন্যান্য জিনিসপত্রের আকারে ভোটারদের কাছে পৌঁছে গেছে। এখন অপেক্ষা এই নাটকের চূড়ান্ত অভিনয়ের জন্য কখন নোটের জন্য ভোটের দৃশ্য প্রদর্শিত হবে। সমাপ্তির সময় প্রতিটি ভোটার প্রায় ৬ হাজার টাকা পাবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
মিউটিনিটি @ হোম
দেশের অনেক প্রবীন রাজনীতিবিদ তাদের মতাদর্শ নিয়ে সমান্তরালভাবে চলার সময় তাদেরই প্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের থেকে প্রকাশ্যে বিদ্রোহের মুখোমুখি হয়েছে।
রাজস্থানের একজন প্রবীন মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রী এই খারাপ সময়ের মুখোমুখি। তিনি যাই ঘোষণা করেন তাঁর বিরোধিতা করেন ও প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেন তাঁর ছেলে। সম্প্রতি মন্ত্রী যিনি মন্ত্রিসবার অত্যান্ত শক্তিশালী বিষয়ে ঘোষণা করেছে। বলেছেন প্রতিবাগ প্রশমিত করতে ভরতপুরে একটি ভিন্না স্থানে বাবা সাহেব ও মহারাজা সুরজমলের মূর্তি স্থাপন করা হবে। কিন্তু পুত্র অবিলম্বে ঘোষণা করেন যে মূর্তিগুলি সেই জায়গায়তেই স্থাপুন করা হবে যেখানে এটি মূলত পরিকল্পনা করা হয়েছিল। বাবা এখন ছেলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন।
কিন্তু মন্ত্রী তার নিজের ছেলেকে মূর্তি স্থানান্তরের বিষয়ে বোঝাতে ব্যর্থ হওয়ায় ভোটাররা বিভ্রান্ত। পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলি বলছে যে ছেলে তার মায়ের কাছ থেকে ক্ষমতা নিচ্ছেন যিনি প্রকৃত 'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী'।
আরও পড়ুনঃ
মোদী মডেল নতুন পথ দেখায়, বিশ্বব্যাঙ্কের ইভেন্টের কথা তুলে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা লর্ড নিকোলাসের
গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রো , উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী মোদী রেলমন্ত্রীর পোস্ট টুইট করেন
মানহানি মামলায় স্বস্তিতে রাহুল গান্ধী, আরএসএস-এর দায়ের করা মামলায় হাজির হতে হবে না আদালতে