সংক্ষিপ্ত
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন আফ্রিকা ভারতের জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এটি তাদের বিশ্বব্যাপী বিষয়গুলিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য রাজ করে যাবে।
ভারতে শুরু হতে চলেছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। তারই প্রস্তুতি চলছে চূড়ান্ত পর্যায়ে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ভারত ২০টি বৃহত্তম অর্থনীতির গোষ্ঠীর পূর্ণ সদস্য হিসেবে আফ্রিকান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্তিকে পূর্ণ সমর্থন করবে। কারণ সর্বস্তরের প্রতিনিধিত্ব ও স্বীকৃতি ছাড়া ভবিষ্যতের পরিকল্পনা সফল হতে পারে না। জি-২০ বৈঠক শুরুর আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই বার্তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
গত সপ্তাহেই একটি সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন আফ্রিকা ভারতের জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এটি তাদের বিশ্বব্যাপী বিষয়গুলিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য রাজ করে যাবে। আফ্রিকার কণ্ঠস্বরকে প্রাধান্য দিতে হবে। তিনি আরও বলেছিলেন, গত কয়েক বছর ভারত নিজেকে একটি নেতৃত্বস্থানীয় কণ্ঠস্বর হিসেবে তুলে ধরেছে। গ্লোবাল সাউথ বা উন্নয়নশলী দেশগুলির, বিশেষ করে আফ্রিকা মহাদেশের চ্যালেঞ্জ ও আকাঙ্কাগুলিকে চিহ্নিত করেছে।
সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় মোদী আরও বলেছেন, ভারতের জি-২০ প্রেসিডেন্সির থিম হল 'বসুধৈব কুটুম্বকম- এক পৃথিবী এক পরিবার আর এক ভবিষ্যৎ'। এই থিমের সঙ্গে পুরোপুরি খাপ খায় আফ্রিকা ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্তি। ভারতের এই দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্বের কাছে তুলে ধরা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুধুযে সাক্ষাৎকারে এমনটা বলেছেন তা নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোগী আগেই আফ্রিকান ইউনিয়নের জি-২০ সদস্য ইস্যুতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। জুন মাসে মোদী জি-২০ নেতাদের কাছে চিঠি লিখে আফ্রিকান ইউনিয়নকে দিল্লিতে জি-২০ দলের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তারই এক মাস পরে জুলাইতে কর্ণাটকের হাম্পিতে অনুষ্ঠিত তৃতীয় জি-২০ শেরপা বৈঠকের সময় শীর্ষ সম্মেলনের খসড়া কমিউনিকের মধ্যে প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। আগামী ৯-১০ সেপ্টম্বর দিল্লিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের ওপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী ভয়েস অব দ্যা গ্লোবাল সাউথ সামিটে ভারতের হোস্টিংএর কথাও উল্লেখ করেছিলেন। যার উদ্দেশ্যই হল উন্নয়নশীল দেশহুলির মুখোমুখি চ্যালেঞ্জগুলি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে আসা।
প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে গ্লোবাল সাউথের "বৃহত্তর অন্তর্ভুক্তির" দিকে প্রচেষ্টা, বিশেষ করে আফ্রিকা বৈশ্বিক বিষয়ে গতি পেয়েছে এবং ভারতের G20 প্রেসিডেন্সি তথাকথিত 'তৃতীয় বিশ্বের' দেশগুলিতে "আস্থার বীজ" বপন করেছে। তিনি আরও বলেছেন উন্নত দেশগুলির সহযোগিতায় এই সব ঘটবে, কারণ আজ, তারা গ্লোবাল সাউথের সম্ভাবনাকে আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বীকার করছে এবং এই দেশগুলির আকাঙ্ক্ষাকে বৈশ্বিক ভালোর জন্য একটি শক্তি হিসাবে স্বীকৃতি দিচ্ছে জি-২০ বিশ্বের ১৯টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।