সংক্ষিপ্ত
রাহুল গান্ধীর মত সাংসদ পদ হারাতে পারেন আফজাল আনসারি। আফজাল লোকসভার বিএসপির প্রতিনিধি। গ্যাংস্টার আইনে পাঁচ বছরের সাজা হয়েছে তাঁর।
মানহানি মামলায় সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশের পর সাংসদ পদ হারিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এবার আরও এক সাংসদ পদ হারাতে চলেছে। শনিবার আদালত গ্যাংস্টার রাজনীতিবিদ মুখতার আনসারি ও তাঁর ভাই তথা বিএসপি সাংসদ আফজাত আনসারিকে ২০০৭ সালের একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছে। দুইজনকে যাথাক্রমে ১০ বছর ও চার বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। উত্তর প্রদেশের এডিজিসি নীরজ শ্রীবাস্তব বলেন, অতিরিক্ত দায়রা জজ মুখতারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ও আফজালকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
এদিন আদালতে শুনানির সময় সাংসদ আফজাল আদালতে হাজির ছিলেন। তাঁর ভাই মুখতার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানিতে অংশ গ্রহণ করে। শুনানির পরেই আফজালকে হেফাজতে নিয়ে কারাগারে পাঠান হয়।
এই রায়ের ফলেই রাহুল গান্ধীর মত সাংসদ পদ হারাতে পারেন আফজাল আনসারি। আফজাল লোকসভার বিএসপির প্রতিনিধি। কিন্তু জনপ্রতিনিধি আইনে কোনও ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হলে আর দুই বছর বা তারও বেশি যদি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয় তাহলে তার সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। যেমনটা হয়েছে রাহুল গান্ধী, আজম খান, তাঁর ছেলে আবদুল্লাহ আজম ও বিজেপির বিক্রিম সাইনির।
উত্তর প্রদেশ প্রশাসনের তরফ থেকে জানান হয়েছে মাফিয়া ও আইএস -১৯১ দলের প্রধান মুখতার আনসারি ও তাঁর আফজাল আনসারির বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন আদালতে কয়েকটি মামলার শুনানি চলছে। তারই একটিতে দুই জনকে সাজা দিয়েছে আদালত। ২০০৭ সালের ২২ নভেম্বর মুহাম্মদবাদ কোতোয়ালি থানায় আনসারি ভাইদের বিরুদ্ধে গ্যাংস্টার আইনে মামলা করা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল ১৯৯৭ সালে বারাণসীর ব্যবসায়ী নন্দ কিশোর রুংতাকে অপরহণ ও হত্যা। ২৯ নভেম্বর ২০০৫ সালে গাজিপুরের তৎকালীন বিধায়ক কৃষ্ণনাদ রাইয়কে হত্যা। এই দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এদিন সাজা ঘোষণার পরে রাইয়ের এক আত্মীয় আদালতের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। বলেছেন, যোগী উত্তরপ্রদেশকে ভয় মুক্ত করেছে। এখানে আগে বিরোধী, মাফিয়ারাই সরকারে রাজ করত। সাধারণ মানুষকে আতঙ্কের সঙ্গে দিন কাটাতে হত।
মুখতার বর্তমানে বান্দা কারাগারে রয়েছে। সে উত্তর প্রদেশের মৌ জেলার মৌ সদর বিধানসভা থেকে টানা পাঁচবার ভোটে জিতেছে। তবে ২০২২ সালে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। এই এই আসন থেকে জিতেছেন তাঁর ছেলে আব্বাস আনসারি। বর্তমানে তিনি তাঁর বাবার রাজপাট সামলান।