সংক্ষিপ্ত

দিল্লিতে আবর্জনার পাহাড় নিয়ে ফের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বিজেপি বনাম  আপের।দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী  কেজরিওয়াল কেন্দ্রীয়  সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন  যে   দিল্লিকে আবর্জনার পাহাড় বানিয়ে ফেলেছে বিজেপি।

দিল্লিতে আবর্জনার পাহাড় নিয়ে ফের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বিজেপি বনাম  আপের।দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী  কেজরিওয়াল কেন্দ্রীয়  সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন  যে দিল্লিকে আবর্জনার পাহাড় বানিয়ে ফেলেছে বিজেপি। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের পরও  দিল্লির বেশ কয়েকটি অঞ্চল এখনো পুরোপুরি অবর্জনায় ঢাকা। যে সরকার স্বচ্ছ ভারত গড়ার অঙ্গীকার করে এসেছে  এতদিন , সেই সরকারের কেন এখনো এই আবর্জনার পাহাড় সরানোর কোনোরকম কোনো তৎপরতা দেখায়নি ? প্রশ্ন তুলছেন তারা। বিজেপির অবশ্য পাল্টা দাবি যে এমসিডি র  টাকা কেজিয়ালের  এতদিন  খরচ না করতে দেওয়ার কারণেই আজ রাজধানীর বিভিন্ন অংশে এমন  আবর্জনার এই স্তুপ বিদ্যমান।প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য এমসিডির টাকা খরচ করার অনুমোদন দিতে পারে একমাত্র বিজেপি সরকার । এই নিয়ে নানান বিতর্ক উঠতেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বৃহস্পতিবার গাজীপুরে যান  ল্যান্ডফিল পরিদর্শন করতে । আর সেখানেই বিজেপি ও আপ কর্মী সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় প্রবল বচসা ও বিক্ষোভ। ময়লা ফেলার  স্থানের সামনে দাঁড়িয়েই  উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয়ে মুখোমুখি তর্ক বিতর্ক।  একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগানের  মাধ্যমে তারা ক্ষোভ উগরে দেয় পরস্পরের প্রতি। 

কেন্দ্রীয় সরকারের এই অভিযোগকে অবশ্য অস্বীকার করেন কেজরিওয়াল।  তিনি বলেন , " আমি সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করতে চাই যে তিনি  হিসাব দিন ঠিক কত টাকা তিনি দল তহবিলে পাঠিয়েছিলেন দিল্লি সরকারকে ? "বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে, বিজেপি কর্মীরা  গাজীপুরে পৌঁছে দিল্লি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে।  এর বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিবাদও শুরু করে আপ সমর্থকরা। উভয়পক্ষই একযোগে শুরু করে পরস্পর বিরোধী স্লোগান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। 

বিক্ষোভ শুরু হবার অনেকদিন আগেই অবশ্য  দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তার একটি টুইটার পোস্টে তার এই গাজীপুর পরিদর্শনের করতে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন।  এমনকি আপ সমর্থকদের সেখানে আসার বার্তাও দিয়েছিলেন তিনি , ওই পোস্টের মাধ্যমে।  কিন্তু বিষয়টি নিয়ে যে এইভাবে পাল্টা রাজনীতির ছক কষবেন বিজেপি সেবিষয়ে বিশেষ ওয়াকিবহাল ছিলেন না তিনি। ফলস্বরূপ সৃষ্টি হয়েছে এই নাটকীয় পরিস্থিতির। 

কিছুদিন আগেই কেজরিওয়াল একটি হিন্দি টুইটে লেখেন  “আমি একজন স্থানীয় নেতাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম - এমসিডি গত ১৫  বছরে কী কাজ করেছে? দ্বিধা সহকারে তিনি দুটি কাজের উল্লেখ করেছেন-
১.৩ টি বড় আবর্জনা পাহাড় তৈরি করা । 
২.দিল্লিকে আবর্জনার আঁতুড়ঘরে পরিণত করা । 
আমি গাজীপুরের আবর্জনা পাহাড় পরিদর্শন করব। আপনিও আসুন,” 

এমসিডি নির্বাচন কাছাকাছি হওয়ায় বিজেপি এবং আপ  উভয়ই এখন ঘোর  প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক রঙ্গমঞ্চে । বিজেপি গত ১৫ বছর ধরে নাগরিক সংস্থার ক্ষমতায় রয়েছে,বিজেপির এই এমসিডি দুর্গ ছিনিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যেই কি আপের এমন কূটনৈতিক চাল- ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন তুলছে বিশেষজ্ঞমহল । 

 

মেয়ে প্রেমে পড়ায় চরিত্র খারাপ, এই কারণে পরিবারের মান বাঁচাতে কিশোরীকে কুপিয়ে খুন করল বাবা

বদলে যাচ্ছে রাজ্য-রাজভবন সমীকরণ? রাজ্যপালের আমন্ত্রণে চেন্নাই যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

মমতা-অমিত শাহ দূরত্ব বাড়ছে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডাকা 'চিন্তন শিবিরে' যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী