সংক্ষিপ্ত
বাবা ও মেয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়ে। মেয়ের প্রেমে আপত্তি জানিয়েছিলেন বাবা। সেই সময়ই মেয়ের সঙ্গে বাবার কথা কাটাকাটি হয়। তারপর রাগের মাথায় বাবা হাতের কাছে একটু কুড়ুল পেয়ে তা দিয়ে মেয়েকে কুপিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।
১৫ বছরের এক কিশোরীকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মেয়েটির চরিত্র নিয়ে একাধিক কুকথা ছড়িয়ে পড়েছিল। আর সেই কারণে পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে মেয়েকেই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিল বাবা। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে তেলাঙ্গনার ওয়ানাপার্টি জেলায়।
অভিযুক্ত বাবার নাম রাজশেখর। তাঁরা বংশপরম্পকায় ওয়ানাপার্টি জেলার পেব্বাইয়ের মণ্ডেলের পাথাপল্লি গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বছর ১৫ মেয়ে দশম শ্রেণীতে পড়ে। গ্রামেরই এক তরুণের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটি গ্রামের মধ্যেই ছেলেটির সঙ্গে ঘুরে বেড়াত। যা নিয়ে রীতিমত অসন্তুষ্ট ছিল রাজশেখর। একাধিকবার মেয়েকে বারন করেছিলেন। কিন্তু মেয়ে সেই কথায় কান দেয়নি। সোমবার দিওয়ালি সেলিব্রেট করে শ্বশুরবাড়ি থেকে এক মেয়েকে নিয়ে রাতের দিকেই বাড়িতে ফেরেন রাজশেখর। স্ত্রী কলেজে বলা বড় মেয়ে আর একমাত্র ছেলে শ্বশুরবাড়িতেই থেকে যায়। ছেলে আবাসিক স্কুলের ছাত্র।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন বাড়িতে ফিরেই বাবা ও মেয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়ে। মেয়ের প্রেমে আপত্তি জানিয়েছিলেন বাবা। সেই সময়ই মেয়ের সঙ্গে বাবার কথা কাটাকাটি হয়। তারপর রাগের মাথায় বাবা হাতের কাছে একটু কুড়ুল পেয়ে তা দিয়ে মেয়েকে কুপিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, মেয়েকে বাবা প্রেমের সম্পর্কে ইতি টেনে পড়াশুনায় মন দিতে বারবার বলেছিল। কিন্তু মেয়ে সেই কথায় কান দেয়নি। মেয়ের সঙ্গে ছেলেটিকে জড়িয়ে গ্রামে একাধিক কথা রটতে শুরু করে ছিল। যার কিছুটা রাজশেখের ও তার পরিবারের কানে উঠেছিল। যা নিয়ে পারিবারিক অশান্ত ছিল। তাতেই এই খুন বলে অনুমান প্রতিবেশীদের।
পুলিশ জানিয়েছে মেয়েকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। রক্তাক্ত অবস্থায় মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করেছিল মেয়েটি। কিছুক্ষণ পরে রাজশেখর বাড়িতে ফিরে আসে। তখন দেখে মেয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। রাজশেখর মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করে নেয়। পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে রাজশেখরকে।
পুলিশ জানিয়েছে, রাজশেখরের মেয়ে যে ছেলেটির সঙ্গে প্রেম করত - দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত বিবাদ ছিল। দুই দিন আগেই দুই সম্পদায়ের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল । যা দেখেছিল গ্রামের বাসিন্দারা। তারপর এই খুনকে পুলিশের একাংশ পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে খুন বলে মনে করছে । সেই মত দায়ের হয়েছে মামলা।
আরও পড়ুনঃ
অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যাকে দিল্লিতে তবল, বান্ধীর চিকিৎসার কারণে ইডি দফতরে গরহাজির তিনি
পাকিস্তানে গোপন সাইবার-বাহিনী তুরস্কের মদতে, নেতৃত্বে রয়েছে কুখ্যাত টার্কির মন্ত্রী সোয়লু
কোয়েম্বাটোর গাড়ি বিস্ফোরণে জঙ্গি যোগ, ধৃত ৫ জনই ছিল এনআইএ-র ব়্যাডারে