- Home
- India News
- দুর্দান্ত খবর! ৭ গুণ বেড়ে যাচ্ছে বেসরকারি কর্মীদের ন্যূনতম পেনশন? জানাল কেন্দ্র সরকার
দুর্দান্ত খবর! ৭ গুণ বেড়ে যাচ্ছে বেসরকারি কর্মীদের ন্যূনতম পেনশন? জানাল কেন্দ্র সরকার
অবসর গ্রহণের পর বেসরকারি কর্মীরা সরকারি কর্মীদের মত মোটা টাকা পান না। তবে এবার বেসরকারি কর্মীদের জন্য EPFO এক বড় সুখবর আসতে চলেছে। একধাক্কায় কয়েক হাজার টাকা বেড়ে যাবে পেনশন।

সরকারি কর্মীরা পেনশন নিয়ে যতটা নিশ্চিন্তে থাকেন, বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত কর্মীরা ততটাই পেনশন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন। কারণ অবসর গ্রহণের পর বেসরকারি কর্মীরা সরকারি কর্মীদের মত মোটা টাকা পান না।
তবে এবার বেসরকারি কর্মীদের জন্য EPFO এক বড় সুখবর আসতে চলেছে। জানা গিয়েছে আর কিছুদিন পর থেকেই বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত কর্মীরা ন্যূনতম ৭৫০০ টাকা করে পেনশন পেতে পারেন।
১৯৯৫ সালে বেসরকারি কর্মচারীদের জন্য EPFO বা কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংস্থা কর্মচারী পেনশন প্রকল্প বা EPS চালু করেছিল। এখানে কর্মীদের বেতনের যে প্রভিডেন্ট ফান্ড বা PF হিসেবে কেটে নেওয়া হত, তার একটি অংশ পেনশন হিসেবে জমা হয়ে আসছে এই EPS-এ।
তবে সেক্ষেত্রে পেনশনের পরিমাণ নির্ভর করে কর্মীদের বেতনের উপর। কোনো কর্মীর যদি টানা ১০ বছর ধরে বেতনের PF কাটা হয়, তবেই একমাত্র সে পেনশনের যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।
১ ডিসেম্বর, ২০২৫-এ লোকসভায় একটি অমীমাংসিত প্রশ্নের জবাবে, সরকার EPS-৯৫ এর অধীনে পেনশনভোগীদের ন্যূনতম পেনশন বৃদ্ধি এবং মহার্ঘ্য ভাতা (DA) প্রদানের বিষয়ে তার অবস্থান স্পষ্ট করে। প্রশ্ন উঠেছে, পেনশনের পরিমাণ ১০০০ টাকা থেকে বেড়ে ৭৫০০ টাকা হবে?
পেনশন প্রাপকদের জন্য জরুরি খবর
এই প্রশ্নটি সাংসদ বালয় মামা সুরেশ গোপীনাথ মাত্রে উত্থাপন করেছিলেন, যিনি স্পষ্ট করতে চেয়েছিলেন যে সরকার ন্যূনতম পেনশন ১,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭,৫০০ করার কথা বিবেচনা করছে কিনা। এই দাবিটি বেশ কয়েক বছর ধরে দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ পেনশনভোগী বারবার তুলে আসছেন।
EPS-95 কী?
EPS -95 হল বেসরকারি এবং সংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারীদের জন্য ভারতের বৃহত্তম পেনশন প্রকল্প, যা ৮০ লক্ষেরও বেশি পেনশনভোগীর জন্য প্রযোজ্য। এই প্রকল্পটি ১৯৯৫ সালে চালু হয়েছিল। এই প্রকল্পটি সকলের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে পেনশন প্রদান করা হয় কর্মচারীর বেতনের ৮.৩৩% নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত এবং ১.১৬% কেন্দ্রীয় সরকারের অবদানের মাধ্যমে।
যদিও এই প্রকল্পটি বার্ধক্যজনিত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। পেনশনভোগীরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন যে ২০১৪ সালে চালু হওয়া ন্যূনতম মাসিক ১,০০০ টাকা পেনশন মুদ্রাস্ফীতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না। এক কথায় বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এই টাকায় কিছুই হয় না।
ন্যুনতম পেনশনের পরিমাণ বাড়বে?
সরকার জানিয়েছে যে বর্তমানে এমন কোনও পরিকল্পনা নেই। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শোভা কারান্দলাজে প্রকল্পের আর্থিক অসুবিধাগুলি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, পেনশন ৭,৫০০ টাকায় বাড়ানোর কোনও প্রস্তাব নেই। সরকার এখনও বলেনি যে তারা বর্তমানে ন্যূনতম পেনশন বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে।

