সংক্ষিপ্ত

রাজ্যসভায় মামলাগুলির দীর্ঘ শুনানি নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই কিরেন রিজিজু বলেন, 'মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, বিচারকদের শূন্যপদ পূরণের ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা  সীমিত।'

কলেজিয়াম ব্যবস্থাকে নিয়ে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তার দাবি বিচারক নিয়োগে সরকারের ভূমিকা সীমিত। গোটা দেশে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫ কোটি মামলার শুনানি হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে মামলার শুনানি না হওয়ার কারণ হলো আমাদের দেশে পর্যাপ্ত বিচারপতির অভাব। এতো কোটি জনসংখ্যার দেশে শুধুমাত্র পর্যাপ্ত বিচারপতির অভাবে দেশের মানুষের সঠিক সময় বিচার না পাওয়া যথেষ্ট উদ্বেগের। কিন্তু তাতে সরকার এগিয়ে না এলেও মুশকিল।

দীর্ঘদিন ধরে কোর্টে মামলা কেন চলে ? এনিয়ে রাজ্যসভায় প্রশ্ন তুলতেই কিরেন রিজিজু বলেন, “মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, বিচারকদের শূন্যপদ পূরণের ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত সীমিত। কলেজিয়াম নাম বাছাই করে, তাছাড়া, সরকারের বিচারক নিয়োগের কোনও অধিকার নেই।” তিনি আরও জানান, প্রধান বিচারপতি এবং হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিদের কাছে সরকার বহুবার বলেছে, যাতে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে ভারতের বৈচিত্র প্রতিফলিত হয়। যাতে মহিলাদের উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব থাকে। কিন্তু বিচারক নিয়োগের বর্তমান ব্যবস্থা সংসদ বা ভারতের নাগরিকদের আবেগকে গুরুত্ব দেয় না।

কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী আরও বলেন, “আমি এই বিষয়ে খুব বেশি কিছু বলতে চাই না। মনে হতে পারে বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করছে সরকার। কিন্তু সংবিধানের চেতনা অনুযায়ী বিচারক নিয়োগের অধিকার সরকারের। ১৯৯৩ সালের পর এটা বদলে গিয়েছিল। বিচারক নিয়োগের পদ্ধতি না বদলালে, বিচারকদের শূন্যপদ পূরণ করা যাবে না।”

কলেজিয়াম ইতিমধ্যেই বেশ চর্চিত হচ্ছে দেশে। এনিয়ে একাধিক সাংবিধানিক প্রধানরা সরব হলে তাদের কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট। কোলজিয়াম নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করা হয়ে উঠছে দুস্কর। তার মাঝেই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর এমন বার্তা আবার ঝড় তুললো দেশে।