সংক্ষিপ্ত

বিএসএফ সীমান্তে তার নতুন কৌশলের অধীনে তিন স্তরের নিরাপত্তা কর্ডন প্রস্তুত করেছে। সীমান্তে সেনারা ক্রমাগত টহল দিচ্ছে। পাশাপাশি বেড়ার উপর অবস্থিত নাকা পয়েন্ট থেকে সেনারা পাকিস্তানের উপর কড়া নজর রাখছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনী অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং-এ চিনা সেনাবাহিনীকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে, তবে ইতিমধ্যে জম্মুর আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফ সতর্ক মোডে রয়েছে। বিএসএফের কাছে বিশেষ গোয়েন্দা রিপোর্ট রয়েছে যে সীমান্তের ওপারে ৩০০ জনেরও বেশি জঙ্গি উপস্থিত রয়েছে এবং তাদের লক্ষ্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তায় অনুপ্রবেশ করা এবং একটি বড় হামলা চালানো। চীন ও ভারতের মধ্যে চলমান উত্তেজনার সুযোগ যেন পাকিস্তান না নেয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ।

বিএসএফ সীমান্তে তার নতুন কৌশলের অধীনে তিন স্তরের নিরাপত্তা কর্ডন প্রস্তুত করেছে। সীমান্তে সেনারা ক্রমাগত টহল দিচ্ছে। পাশাপাশি বেড়ার উপর অবস্থিত নাকা পয়েন্ট থেকে সেনারা পাকিস্তানের উপর কড়া নজর রাখছে। সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকায় অ্যামবুস বসিয়েছে বিএসএফ। টানেলিং বিরোধী অভিযান চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে পাকিস্তান থেকে আসা ড্রোনের ওপর নজর রাখা হচ্ছে।

বিএসএফ-এর কাছে এমন ইনপুট রয়েছে যে পাকিস্তানে বসে থাকা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলি বিশেষ করে লস্কর, জইশ, হিজবুল মুজাহিদিন এবং আল বদর পাহাড়ে তুষারপাতের পরে জম্মু, রাজৌরি এবং পুঞ্চ অঞ্চলের আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে তাদের অনুপ্রবেশের উদ্দেশ্য সফল করার চেষ্টা করতে পারে।

বিএসএফ-এর কাছে এমন সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে যে পাকিস্তানের পাশে সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রশিক্ষণ শিবির রয়েছে, যেখান থেকে লঞ্চ প্যাডে জঙ্গিদের পাঠানোর চেষ্টা চলছে। এ কারণেই সীমান্তের প্রতিটি এলাকায় এলাকা আধিপত্য বিস্তারের কাজ করছে বিএসএফ। একই সঙ্গে নিরাপত্তা সরঞ্জামের সাহায্যে পাকিস্তানের প্রতিটি কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখা হচ্ছে।

এদিকে, জানা গিয়েছে, পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ তল্লাশি অভিযানে সীমান্ত গ্রামের বারেকার মাঠ থেকে তিন প্যাকেট হেরোইনসহ একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হয়েছে ১৩ কোটি টাকা মূল্যের দুই কেজি ৬৫০ গ্রাম হেরোইন। তল্লাশি দলটি স্নিফার ডগের সাহায্যে সন্দেহের ভিত্তিতে এক ব্যক্তিকে আটক করে ওই হেরোইন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ঘটনাটি বিএসএফের আবহার সেক্টরের ফাজিলকার বারেকা গ্রামের।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে ঘন কুয়াশার মধ্যে সীমান্ত গ্রামের বারেকার মাঠে হেরোইনের প্যাকেট ফেলে পাকিস্তান থেকে আসা ড্রোনটি ফিরছিল। সীমান্তে টহলরত বিএসএফ জওয়ানরা ড্রোনের শব্দ শুনে ছয়টি গুলি চালায়। কিন্তু ড্রোন ঢুকে পড়ে পাকিস্তানের সীমান্তে। রাতেই পুলিশকে খবর দেয় বিএসএফ। রাত থেকেই বিএসএফ ও পুলিশ যৌথ তল্লাশি অভিযান শুরু করে।