সংক্ষিপ্ত
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে ওই সরকারি কর্মী জবরদস্তি করছেন এক মহিলা সহকর্মীর সঙ্গে। তাঁকে জোর করে তাঁর শরীরের নানা জায়গায় অবাঞ্ছিত ভাবে হাত দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) যোগী আদিত্যনাথ সরকারের (Adityanath government) আন্ডার সেক্রেটারি স্তরের (undersecretary level administrator) এক কর্মীর কীর্তি ক্যামেরাবন্দি। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে ওই সরকারি কর্মী জবরদস্তি করছেন এক মহিলা সহকর্মীর সঙ্গে (sexually harassing)। তাঁকে জোর করে তাঁর শরীরের নানা জায়গায় অবাঞ্ছিত ভাবে হাত দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ওই প্রশাসকের গোটা কীর্তি ধরা পড়েছে ক্যামেরায়।
মহিলা কর্মী নিজের ক্যামেরায় ওই ব্যক্তির কান্ড তুলে ধরেছেন। লখনউ থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিটিকে ইচ্ছা রাম যাদব হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। "সংখ্যালঘু কল্যাণ বিভাগের সচিব হিসাবে নিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে মহিলা কর্মচারীর উপর শারীরিকভাবে নিগ্রহ করতে দেখা গিয়েছে স্পষ্ট ভাবে।
এই গোটা ঘটনার ভিডিও নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তুলে ধরেছেন সাংবাদিক অরবিন্দ চৌহান। এই জঘন্য আচরণের ভিডিও আপলোড করে টুইট করার পরেই তোলপাড় শুরু হয়। এই ফুটেজ ক্যামেরায় তোলে নির্যাতিতা। সাংবাদিক ওই মহিলার পরিচয় রক্ষার জন্য মুখ ঢেকে রেখে ফুটেজ প্রকাশ করেন।
ইচ্ছা রাম যাদবকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা সত্ত্বেও ফুটেজে মহিলার উপর জোর করতে দেখা যায়। এরপর তাকে দেখা গেছে মহিলাটিকে এক কোণে ঠেলে দিয়ে তাকে চুমু খেতে বাধ্য করছে। ইচ্ছা রাম যাদবকে পরবর্তীতে তার কপাল পরিষ্কার করতে দেখা গেছে। ২৯শে অক্টোবর, এই জঘন্য ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে, ইউপি পুলিশ ইচ্ছা রাম যাদবকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪, ৫০৬, ২৯৪ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
গোটা ঘটনায় ধিক্কার জানিয়েছেন নেটিজেনরা। এফআইআর দায়ের করতে গিয়ে নিজের বয়ানে ওই নির্যাতিতা জানিয়েছেন তাঁর সঙ্গে জবরদস্তি করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি ইচ্ছা রাম যাদব তাকে রেস্টরুমে যাওয়ার কথা বলে, সেখানে তাঁর সঙ্গে যৌন নিপীড়ন চালানো হয় বলে অভিযোগ। নেটিজেনদের দাবি উত্তরপ্রদেশ এখন জীবন্ত দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।