সংক্ষিপ্ত

পর্যটনের নতুন ঠিকানা তৈরি হবে হিমালয় আর গঙ্গাকে কেন্দ্র করে। জি-২০ বৈঠকে অ্যাটভেঞ্চার ট্যুরিজেমের ওপর জোর দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

 

 

কেন্দ্রীয় সরকার চলতি বছরই হিমালয়া ও গঙ্গা নদীকে কেন্দ্র করে পর্যটন বাড়াতে দুটি মেগা পরিকল্পনা নিয়েছে। হিমালয় ও গঙ্গা নদীকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিক কোনও পর্যটন কেন্দ্র নয়, অ্যাডভেঞ্চাল ট্যুরিজিম ট্রেইল চালু করার ওপরে জোর দিয়েছে। রবিবার G-20 ট্যুরিজিম ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের পর একটি অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে তেমনই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিশান রেড্ডি। তিনি বলেছেন, তাঁর মন্ত্রক ২০২৩ সালে দুটি অ্যাডভেঞ্চার মেগা ট্রেইল - গঙ্গা ট্রেইল ও উত্তর পশ্চিম হিমালয় ট্রেইলগুলির বিকাশের জন্য রাজ্য ও শিল্পগোষ্ঠীগুলির সঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনা নিয়েছে।

মন্ত্রকের এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, সরকার দুইটট্রেইল দিয়ে শুরু করছে। তবে ভবিষ্যতে অন্যান্য ট্রেইলও চালু করা হবে। উদাহরণ স্বরূপ তিনি বলেছেন, অমরকান্তঙ্ক থেকে আরব সাগর পর্যন্ত নর্মদা ট্রেইল, কাবেরী নদীর ট্রেইল, কচ্ছ থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত পশ্চিম উপকূলের ট্রেইল, পশ্চিমবঙ্গ থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত পূর্ব উপকূলের ট্রেইল থাকবে।

শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং-এ অনুষ্ঠিত জি-২০ ট্যুরিজিম ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে সরকার অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে চায় বলেও জানিয়েছে। অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজিম নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার প্রচার শুরু করছে বলেও কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রেড্ডি বলেন, ভারতের ভূপ্রাকৃতিক অবস্থান এমনই যা অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজিমের জন্য আদর্শ। আগামী দিনে ভারত অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজিমের আদর্শ গন্তব্যে পরিণত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলছেন, 'আমাদের ৭ হাজার কিলোমিটার উপকূলরেখা রয়েছে, হিমালয়ের ৭০ শতাংশ, প্রায় ৭০০ কিলোমিটার উপকূল নদী রয়েছে। একই সঙ্গে রয়েছে বালির রাজ্য মরুভূমি, লাদাখের শীতল মরুভূমি.. যা সর্বদাই দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের কাছে আকর্যণীয়। দুঃসাহসিক কার্যকলাপের সুযোগ দেয় পর্যটকদের। '

জি-২০ বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের জন্য রাতের অন্ধকারে মশাল জ্বেলে চা- পাতার তোলার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল শনিবার রাতে। যদিও পূর্ণিমার রাতে চাঁদের আলোয়ে অনেক সময় মহিলারা মশাল জেলে রাতের অন্ধকারে চা পাতা তোলেন। কিন্তু এক্ষেত্রে শুধুমাত্র জি-২০ বঠকে উপস্থিতি দেশি ও বিদেশি প্রতিনিধিদের জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরবলেন, কেন্দ্রীয় সরকার উত্তরপ্রদেসের বারাণসী থেকে পশ্চিমবঙ্গের হলিদিয়ার মধ্যে শুধুমাত্র গঙ্গানদীর তীরে ৬০টি জেটি তৈরি করেছে। তিনি আরও বলেন, রাজ্যের হুগলির ত্রিবেনী ও নদিয়ার কল্যানীতে এজাতীয় চারটি জেটিঘাট তৈরি হয়েছে। সেই চারটি জেটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শান্তনু ঠাকুর বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার দেশে ১১৮টি জলপছ তৈরি করছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা মতুয়া পরিবারের সদস্য এদিন বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ১১৮টি নতুন জলপথ তৈরি করছে। যা পরবহণ খরচ অনেক কমিয়ে দেবে। পাশাপাশি পর্যটকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। এই জলপথকে কেন্দ্র করে নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তৈরি হবে, যা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও নিত্যযাত্রী - ছাত্রদের সাহায্য করবে। দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে।