সংক্ষিপ্ত
- এসি কেনার ভাবনা থাকলে কয়েকটা দিন অপেক্ষা করুন
- এবার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকেই বিক্রি করা হবে বাতানুকূল যন্ত্র
- তাও মিলবে বাজার দরের থেকে অন্তত ১৫ শতাংশ কম দামে
প্রতি বছর গ্রীষ্মে তাপমাত্রা যে হারে বেড়ে চলেছে তাতে এসি বা বাতানুকূল যন্ত্রকে এখন আর বিলাস দ্রব্য বলা উচিত কি না তাই নিয়েই তর্ক চলতে পারে। এসি এখন প্রায় প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্য়েই এসে পড়েছে। তা এই গ্রীষ্মে যদি মনে একটি বাতানুকূল যন্ত্র কেনার ইচ্ছে থেকে থাকে, তবে কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে পারেন। কথায় বলে না সবুরে মেওয়া ফলে, সেরকমটা আপনার সঙ্গেও ঘটতে পারে।
আসছে ইইএসএল মার্ট
এসি কেনার জন্য এবার অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টের মতো একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। জুন মাস থেকেই এই সরকারি অনলাইন মার্কেটপ্লেস চালু হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় শক্তি দফতরের আওতাধীন সংস্থা এনার্ফিসিয়েন্সি সার্ভিসেস লিমিটেড বা ইইএসএল এই উদ্যোগ নিচ্ছে। অনলাইন বিপণীটির নাম হবে ইইএসএল মার্ট।
২৪ ঘন্টায় ডেলিভারি, ৪৮ ঘন্টায় ইনস্টলেশন
বাতানুকূল যন্ত্র প্রস্তুতকারী বিভইন্ন সংস্থার সঙ্গে সরকার জোট বাঁধছে। এই মার্টের মারফত এসি বুক করলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ডেলিভারি ও ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ইনস্টলেশন-এর কাজ সম্পূর্ণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। শুধু নতুন এসি কেনাই নয়, অন্য়ান্য অনলাইন বিপণীর মতোই ইইএসএল মার্ট-এ পুরনো এসি মেশিন বদলানোও যাবে।
আগ্রহী যেইসব সংস্থা
সরকারি ভাবে ঘোষণা না করা হলেও জানা গিয়েছে এলজি, গোদরেজ, প্যানাসোনিক, ব্লুস্টার-এর মতো বাতানুকূল যন্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে অগ্রণী বেশ ক.য়েকটি সংসথা এই উদ্যোগে সরকারের সঙ্গে হাত মেলাতে আগ্রহী।
শুধু দামে সস্তাই নয়, আছে আরও সুবিধা
ইইএসএল সংস্থার দাবি, তাঁদের অনলাইন বিপণীতে যে ষন্ত্রগুলি রাখা হবে, তার দাম তো বাজারের অন্যান্য এসির থেকে অন্তত ১৫ শতাংশ কম হবেই, সেই সঙ্গে কমবে বিদ্যুতের খরচও। সংস্থার দাবি এই এসি গুলি বাজারে চালু এসি যন্ত্রগুলির তুলনায় ৪০ শতাংশ বিদ্যুত কম খরচ হবে।
প্রযুক্তিগত সহায়তা কে দেবে?
শুধু তাই নয় এই অনলাইন বিপণী থেকে কেনা সমস্ত পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহায়তা মিলবে সরকারি সংস্থা ইইএসএল-এর তরফ থেকেই।
ইইএসএল-এর চিফ জেনারেল ম্যানেজার এসপি গরনায়ক জানিয়েছেন, এখনও তাঁদের প্রোকিওরমেন্ট প্রক্রিয়া চলছে। কাজেই বাজারমূল্যের থেকে ঠিকতটা কম দামে ইইএসএল মার্টে এসি মিলবে, তা এখনও চুড়ান্ত না হলেও অন্তত ১৫ শতাংশ কম তো হবেই। প্রাথমিকভাবে ভারতের তিনটি বড় শহরেই এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। আস্তা আস্তে ভারতের সর্বত্রই ডেলিভারি করা হবে।