সংক্ষিপ্ত
দেশের বুকে আবারও আতঙ্ক।
তাদের মধ্যে ১২ জনকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছে। মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য বিভাগ এই রোগের হঠাৎ বাড়বাড়ন্ত নিয়ে তদন্তের জন্য একটি বিশেষ দলও তৈরি করেছে। এক স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়েছেন, “বুধবার পর্যন্ত GBS রোগীর সংখ্যা ৫৯-এ গিয়ে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ৩৮ জন পুরুষ এবং ২১ জন মহিলা। আপাতত ১২ জন রোগী ভেন্টিলেটরে রয়েছেন।'
ডাক্তারদের মতে, সাধারণত ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসজনিত সংক্রমণের পর GBS হতে পারে। এই সংক্রমণ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অনেকটা দুর্বল করে দেয়। এটি শিশু এবং যুবক বয়সী মানুষদের মধ্যে দেখা যেতে পারে। তবে এটি মহামারি বা অতিমারি আকার ধারণ করার সম্ভাবনা সেইরকম নেই বললেই চলে। চিকিৎসার মাধ্যমে বেশিরভাগ রোগীই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন।
গুইলান-বারি সিনড্রোম (Guillain-Barre Syndrome) একটি বিরল স্নায়ুজনিত রোগ, যেখানে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা স্নায়ুগুলির ওপর প্রবলভাবে আক্রমণ করে। এতে দুর্বলতা, অসাড়তা এমনকি পক্ষাঘাতও হতে পারে। এই রোগের সঠিক কারণ এখনও জানা নেই।
Mayo Clinic-এর মতে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে GBS হওয়ার ৬ সপ্তাহ আগে রোগী কোনো ধরনের শ্বাসযন্ত্রের বা অন্ত্রের সংক্রমণের শিকার হন। কিন্তু এই রোগের লক্ষণ কী কী? GBS-এর প্রধান লক্ষণ হল পায়ের দুর্বলতা, যা ধীরে ধীরে শরীরের ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
হাঁটতে বা সিঁড়ি ভাঙতে বেশ সমস্যা হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে মুখমণ্ডলে দুর্বলতাও দেখা দিতে পারে। নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার ইনস্টিটিউটের মতে, স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক সঙ্কেত যেতে পারে।
এছাড়া অন্যান্য লক্ষণগুলো হল: দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা, গিলতে বা কথা বলতে বা চিবোতে অসুবিধা এবং হাত-পায়ে ঝিঁঝিঁ ভাব বা ব্যথা, যা রাতে তীব্র হতে পারে।
অন্যদিকে, হৃদস্পন্দন বা রক্তচাপের অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে, হজম বা মূত্রথলির কার্যক্ষমতায় সমস্যা চিকিৎসা ও নির্ণয় GBS নির্ণয়ের জন্য ডাক্তার রোগীর শারীরিক পরীক্ষা এবং চিকিৎসার ইতিহাস পর্যালোচনা করেন।
অপরদিকে, স্নায়ুর সংকেত পাঠানোর ক্ষমতা পরিমাপ করতে নার্ভ কন্ডাকশন ভেলোসিটি (NCV) টেস্ট করা হয়। এছাড়া, মেরুদণ্ডের চারপাশের তরল পরীক্ষা করেও রোগ নির্ণয় করা হয়। GBS-এর নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা নেই। তবে কিছু থেরাপির তীব্রতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।