সংক্ষিপ্ত
আজই হতে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা। ১৮২ আসনের গুজরাট বিধানসভা ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে বিজেপি আর কংগ্রেসের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এই রাজ্যে এবার খাতা খুলতে চলেছে আপও।
কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হবে আজ দুপুরে। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরেই মধ্যেই জানা যাবে ঠিক কবে থেকে মোদী- অমিত শাহের রাজ্যে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর কবেই ফল প্রকাশ করা হবে। আগেই নির্বাচন কমিশন হিমাচল প্রদেশের দিন ঘোষণা করেছিল। সেই দিনই গুজরাট বিধানসভার সূচি ঘোষণার করা হবে বলেই আশা করেছিল বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু তা করা হয়নি। তারপর থেকেই বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনকে একহাত নিয়েছে রাজনৈতি দলগুলি। এই এবস্থায় ৩ নভেম্বর গুজরাট বিধানসভার সূচি ঘোষণা করা হবে বলেও নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর।
মুখ্য নির্বাচন কমিশন রাজীব কুমার বৃহস্পকিবার দুপুর ১২টার সময় সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছেন। সূত্রের খবর এই বৈঠকেই গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচনের সূচি প্রকাশ করা হতে পারে। গত ১৪ অক্টোবর হিমাচল প্রদেশের নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছিল কমিশন। আগামী ১২ নভেম্বর হিমাচল প্রদেশে ভোট গ্রহণ। ফল প্রকাশ ৮ ডিসেম্বর। একই দিনে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
১৮২ আসনের গুজরাট বিধানসভায় গত নির্বাচনেও একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে রয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দখলে ১১১টি আসন। বিরোধীদের দখলে রয়েছে মাত্র ৬৭টি আসন। যারমধ্যে কংগ্রেসের দখলে ৬৫ বিধায়ক রয়েছে। এনসিপি ও আইএনডি-র ১টি করে আসন রয়েছে। আর বিটিপির দখলে রয়েছে ২টি আসন। বিধানসভায় খালি রয়েছে ২টি আসন।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত গুজরাট বিধানসভায় এবার তৃতীয় শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে অরবিন্দ কেরজিওয়ালের আম আদমি পার্টি। পঞ্জাবে সরকার গঠনের পর এবার কেজরিওয়াল যদি মোদীর রাজ্যে বড় সাফল্য পান তাহলে তা তাঁর দলের পক্ষে রীতিমত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। অন্যদিকে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন এখন বিজেপির কাছে রীতিমত চ্যালেঞ্জের। কারণ গুজরাটে এখনও বিজেপির মুখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী ম্যাজিক অক্ষত রয়েছে কিনা তা ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে আরও একবার পরীক্ষা করে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে বিজেপি। তবে গত নির্বাচনের পরে এই রাজ্যে কংগ্রেসের অবস্থা তেমন ভাল নয় বলেও রাজনৈতিক নেতাদের অভিমত। কারণ এই রাজ্যে এখনও কংগ্রেস কোনও মুখ তৈরি করতে পারেনি। তারপর হার্দিক প্যাটেলের দল বদলও কংগ্রেসের কাছে একটি ধাক্কা। কারণ প্যাটেল ভোট কংগ্রেসের সঙ্গে থাকবে না বলেও মনে করছে রাজ্যের একাংশের মানুষ। তাই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান এই রাজ্যে আপ কার ভোট কাটবে তাও ওপরে অনেকটাই নির্ভর করছে ২০২৪ সালের ফলাফল।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফরের সময়ও মাচ্ছু নদীতে থামেনি উদ্ধারকার, নিরপেক্ষ তদন্তের কথা বললেন তিনি
ভগবান গণেশকে তুষ্ট রাখতে বুধবার ভুলেও এই রঙের পোশাক পরবেন না, জানুন পুজোর নিয়মগুলি