সংক্ষিপ্ত
আহমেদাবাদের বিশেষ আদালতে গোধরা পরবর্তী দাঙ্গার এই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় সমস্ত অভিযুক্তদের বেকুসুর খালাস করে দিয়েছে। এই ঘটনার তদন্তের জন্য সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছিল।
স্বস্তিতে বিজেপি। গুজরাটের একটি বিশেষ আদালত বৃহস্পতিবার ২০০২ সালের নরোদাগামে দাঙ্গা মামলায় ভারতীয় জনতা পার্টির প্রাক্তন মন্ত্রী মায়া কোডনানি-সহ ৬৭ জন অভিযুক্তকে বেকুসুর খালাস করে দিয়েছে। এই দাঙ্গায় সেই সময় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যাদের সকলেই ছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।
আহমেদাবাদের বিশেষ আদালতে গোধরা পরবর্তী দাঙ্গার এই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় সমস্ত অভিযুক্তদের বেকুসুর খালাস করে দিয়েছে। এই ঘটনার তদন্তের জন্য সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছিল। সিটই এই মামলার তদন্ত করেছিল। যাদের খালাস করে দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে, প্রাক্তন মন্ত্রী কোডনানি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা জয়দীপ প্যাটেল। প্রাক্তন বজরং দলের নেতা বাবু বজরঙ্গি। মামলা চলাকালীন এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছিল। আর একজনকে অনেক আগেই বেকুসুর খালাস করে দিয়েছিল আদালত।
এই মামলায় শুনানি চলার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০১৭ সালে কোডনানির পক্ষে প্রতিরক্ষার সাক্ষী হিসেবে আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন। তিনি ২০০২ সালে তৎকালীন মুখ্যমমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন গুজরাট সরকারের একজন মন্ত্রী ছিলেন। গুজরাটের গোধরায় সরবমতী এক্সপ্রেসের একটি কোচ পুড়িয়ে দেওয়ার পরই এই দাঙ্গা শুরু হয়েছিল।
তবে কোডনানিতে নরোদা পাটিা দাঙ্গা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। সেখানে মৃত্যু হয়েছিল ৯৭ জনের। সেই মামলায় তাঁকে ২৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে গুজরাট হাইকোর্ট তাঁকে খালাস করে দেয়। নরোদাগাম মামসা ৮০ জনেরও বেশি মানুষকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। বিচার চলাকাবীম ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে এই মামলার রায়ে দেশের রাজনৈতিক মহলে ঝড় তুলতে পারেষ কারণ বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় দোষী সাহব্যস্ত গওা ১১ জনকে গত বছর নভেম্বর গুজরাট নির্বাচনের ঠিক আগেই তাদের সাজা মকুব করে দিয়েছিল। ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গা তিন বছরের সহ বিলকুস বানোর গোটা পরিবারকে হত্যা করা হয়েছিল। তারপরই নরোদা গাম হত্যা মামলায় সব অভিযুক্তদেরই বেকুসুর খালাস করে দেওয়া হল। যা নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নরোদা গাম হত্যাকাণ্ড
২০০২ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি সবরমতি এক্সপ্রেস অযোধ্যা থেকে ফিরে আসছিল। সেই সময় ৫৭ জন করসেবককে গোধরায় একটি ট্রেনের মধ্যে একটি কোচে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। তারপরই রাজ্য জুড়ে দাঙ্গার আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। যোগা রাজ্যে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। ঘটনার একদিন পরেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বনধ ডেকেছিল। গুজরাটের তৎকালীন মন্ত্রী মায়া কোডনানি, বাবু বজরঙ্গীর নেতৃত্বে একটি বড় দল আহমেদাবাদের নরোদা গ্রামে জ়ড়ো হয়েছিল। সেই সময়ই হামলা শুরু হয়। বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বাসিন্দাদের ওপর হামলা করা হয়। এলাকায় পাথর ছোঁড়া ও আগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছিল। নরোনাগ্রামে দাঙ্গার সময় ১১ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল।