সংক্ষিপ্ত
মোদী পদবী মামলায় রায় ঘোষণায় গুজরাট হাইকোর্ট বলেছে, 'আদেশটি ন্যায্য, যথাযথ, আইনগত। ' দোষী সাব্যস্ত থাকার আবেদন প্রত্যাখ্যান করায় রাহুল গান্ধীর প্রতি কোনও অবিচার করা হবে না।
গুজরাট হাইকোর্টে বড় ধাক্কা খেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মোদী পদবী সংক্রান্ত মানহানি মামলায় তাঁকে যে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করল আদালত। আর সেই কারণে এখনও পর্যন্ত সাংসদ হিসেবে রাহুল গান্ধী অযোগ্য। তবে গুজরাট আগালত রাহুল গান্ধীর জন্য সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার রাস্তা খোলা রেখেছে।
গুজরাট হাইকোর্টের রায় রাহুল গান্ধীকে আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের অনেকটাই পিছিয়ে দিল। কারণ এখনও পর্যন্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঠিক না হলেও রাহুল গান্ধী যে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে গুজরাট হাইকোর্টের রায়ে প্রাক্তন সাংসদ রাহুল গান্ধীকে জেলে যেতে হবে না। কারণ তাঁর দুই বছরের কারাদণ্ডের সাজার ওপর আগেই আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছিল।
আদালতের রায়
মোদী পদবী মামলায় রায় ঘোষণায় গুজরাট হাইকোর্ট বলেছে, 'আদেশটি ন্যায্য, যথাযথ, আইনগত। ' দোষী সাব্যস্ত থাকার আবেদন প্রত্যাখ্যান করায় রাহুল গান্ধীর প্রতি কোনও অবিচার করা হবে না। আদালত আরও বলেছে, 'দণ্ড স্থগিত করার কোনও যুক্তি সংগত কারণ নেই। ট্রায়াল কোর্টের আদেশ ন্যায্য, সঠিন, আইনি, ও উল্লিখিত আদেশে হস্তক্ষেপ করার কোনও দরকার নেই। অযোগ্যতা শুধুমাত্র সাংসদ ও বিধায়কদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।' আদালত আরও বলেছে, রাহুলের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ১০টি ফৌজদারী মামলা বিচারাধীন। 'এট একটি সুপ্রতিষ্ঠিত নীতিযে দোষী সাব্যস্ত হওয়া একটি নিময় নয়, বিরল ক্ষেত্রে অবলম্বন করা একটি ব্যাতিক্রম।'
মোদী পদবী মামলা
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় অর্থাৎ প্রায় চার বছর আগের দায়ের করা একটি মামলায় রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক পুর্ণেশ মোদী। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ ও ৫০০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলায়েই সুরাট আদালত রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। কর্নাটকর নির্বাচনী প্রচারে রাহুল গান্ধী ললিত মোদী ও নীবর মোদীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতে গিয়ে বলেছিলেন, সব চোরেরদেরই পদবী মোদী।
জনপ্রতিনিধি আইনঃ
রাহুল গান্ধীকে দুই বছেরর সাজা দিয়েছে আদালত। কিন্তু জনপ্রিতিনিধি আইন অনুসারে দুই বছর বা তারও বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তিদের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। যা ছ-ছর পর্যন্ত তা কার্যকর থাকে। তবে সাজা এড়ানোর জন্য রাহুল গান্ধী উচ্চ আদালতে আবেদন করতে পারেন বলেও জানিয়েছে আদালত। এদিন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী। তিনি আদালতকেও সাজা কমানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন তাঁর মন্তব্যের জন্য কারও কোনও ক্ষতি হয়নি।
এই মামলায় রাহুল গান্ধী একাধিক আদলত ঘুরে অবশেষে গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেই রাহুল গান্ধীর স্বস্তি নেই।