সংক্ষিপ্ত
পঞ্জাবের পর এবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের টার্গেট নরেন্দ্র মোদীর গুজরাট। কিন্তু সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে আপ অক্সিজেন পাবে কংগ্রেসের থেকে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কথায় গুজরাটে এবার ত্রিমুখী লড়াই হবে। একদিকে বিজেপি বনাম কংগ্রেসের মধ্যে এবার তৃতীয় শক্তি হিসেবে হাজির অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। পঞ্জাব দখলের পর থেকেই রীতিমত অক্সিজেন পেয়েছে আপ। তারপর এবার কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে এই দল এবার মোদীর রাজ্যেও ভোট যুদ্ধে সামিল হতে প্রস্তুত। ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু হয়েছে। কিন্তু আপ-এর এই ভোট যুদ্ধ কি ফাটল ধরাতে পারবে মোদীর গড়ে? এখন থেকেই উঁকি দিচ্ছে তেমনই প্রশ্ন। কিন্তু এশিয়ানেট -এশিয়ানেট নিউজ - সিফোর-এর প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষা বলছে অন্য কথা। নির্বাচনী সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী ভোট কাটাকাটির লড়াইয়ে কংগ্রেস ও নির্দলের ভোট যাবে আপের ঝুলিতে।
প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বিজেপি এখনও পর্যন্ত ৪৮ শতাংশ ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলির তুলনায়। এখনই যদি নির্বাচন হয় তাহলে বিজেপি ১৮২ আসনের গুজরাট বিধানসভায় ১৩৩-১৪৪টি আসন পেতে পারে। যার অর্থ গেরুয়া শিবিরের ক্ষমতায় আসার পথ খুবই মসৃণ। অন্যদিকে কংগ্রেস ও আপ ভোট পাবে ৩১ ও ১৬ শতাংশ। কংগ্রেস পেতে পারেন ২৮-৩৭টি আসন। আর আপ গুজরাটে খাতা খুলতে পারে। পেতে পারে ৫-১৪টি আসন।
রিপোর্ট অনুযায়ী এখনই যদি ভোট হয় তাহলে বিজেপির ভোট এক শতাংশ কমবে। সেখানে কংগ্রেসের ভোট কমবে ১০ শতাংশ। আর নির্দলের ভোট কমবে ৫ শতাংশ। পাল্টা ১৬ শতাংশ ভোট বাড়বে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ-এর। আসন্ন নির্বাচন বিজেপি যে একক সংখ্যাগরিষ্ট দল হিসেবে সরকার গঠন করতে তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই সমীক্ষায়।
সমিক্ষা রিপোর্টে দেখা গেছে অধিকাংশ আসনেই কংগ্রেস ও বিজেপি জোর লড়াই হবে। কিছু আসনে বিজেপি তেমনভাবে মোকাবিলা করতে হবে না প্রতিপক্ষের। অন্যদিকে সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় আপ-এর দাপট বাড়ছে। কিন্তু সেখানে অধিকাংশ আসনেই আপ-এর সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই হবে কংগ্রেসের।
অন্যদিকে সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী আপ বেশ কিছু প্রতিশ্রুটি দিতে শুরু করেছে নির্বাচনী জনসভায়। যারমধ্যে রয়েছে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ, বেকার যুকবদের জন্য মাসিক ৩ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে। এই প্রতিশ্রুতিগুলি ভোটারদের প্রভাবিত করবে। কিন্তু এখনই নির্বাচন হলে আপ গুজরাটের নির্ণায়ক শক্তি হতে পারবে না বলেও রিপোর্ট করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবারের মধ্যে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। ১৮২টি কেন্দ্রে প্রায় ১ ,৮২,৫৫৭ জন ভোটারের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি বিধানসভা এলাকা থেকে ১০০০ ভোটারকে বাছা হয়েছিল। তাদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলার পরই সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। বুথ পর্যায়ে নেমে সমীক্ষা করা হয়েছে।
ক্যাডবেরিতে 'না', বয়কট ট্রেন্ডে এবার আপনার প্রিয় চকোলেট - দেখুন পোস্টগুলি
গুজরাটের মাচু নদীর উপর ভেঙে পড়ল ঝুলন্ত সেতু, আহত শতাধিক, চলছে উদ্ধারকাজ
এশিয়ানেট নিউজ - সিফোর-এর প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষা, এগিয়ে বিজেপি- কংগ্রেসের পিছিয়ে থাকার কারণ নেতৃত্ব