সংক্ষিপ্ত
গুজরাটে বিজেপির টিকিট না পেয়ে দল ছাড়লেন বিজেপির ৬ বারের বিধায়ক মধুভাই শ্রীবাস্তব। তিনি জানিয়েছেন মোদী-শাহের আমন্ত্রণের গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন ১৯৯৫ সালে।
এবার আর কংগ্রেসে নয়, ভোটের আগেই ভাঙন বিজেপিতে। গুজরাটের টানা ৬ বারের বিধায়ক এবার দল ছাড়লেন। তবে অন্য কোনও দল নয়। তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবেই গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন ২০২২ - র যুদ্ধে সামিল হবেন। বিধানসভা নির্বাচন টিকিট না পেয়েই দল বদলের সিদ্ধান্ত বলে নিজেই জানিয়েছেন মধুভাই শ্রীবাস্তব। তিনি আরও বলেছেন, '২৫ বছর আগে নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহের পীড়াপীড়িতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম।'
মধুভাই শ্রীবাস্তব- শেষ বিধানসভা নির্বাচনে ওয়াঘোদিয়া থেকে থেকে বিজেপির টিকিটে জিতে ছিলেন। এলাকায় বাহুবলী হিসেবেই তাঁর পরিচিতি। ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গাতেই তাঁর নাম জড়িয়েছিল। দল ছাড়ার পর তিনি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল কিছুই করতে পারবেন না। কারণ এই বিধানসভা নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্ব। দিল্লি থেকে নেওয়া হচ্ছে সিদ্ধান্ত। তাই আর কিছুই তাঁর করার নেই। সেই কারণেই টিকিট পাওয়ার আসা নেই দেখেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মধুভাই শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, তিনি বিজেপি প্রার্থী হওয়ার জন্য ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে কথা বলেননি। কারণ তাঁর সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। কিন্তু টিকিট বিলি অর্থাৎ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরেও তিনি কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। মধুভাই শ্রীবাস্তব হলেন গুজরাটের সেই ৬ বিধায়কের মধ্যে একজন যিনি বিদ্রোহী বিধায়কদের তালিকায় রয়েছেন। যারা শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে নারাজ।
মধুভাই শ্রীবাস্তব ১৯৯৫ সালে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিল। তারপর তিনি মোদী ও অমিত শাহের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর থেকে দীর্ঘ দিন ধরেই বিজেপিতেই ছিলেন তিনি। তবে তাঁর পরিবারের অনেক সদস্য কংগ্রেস, জনতা দল ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত।
বিজেপি এবার তাঁর কেন্দ্র ওয়াঘদিয়া থেকে নির্বাচনে প্রার্থী করেছে ভাদোদরা জেলার বিজেপির প্রধান অশ্বীন প্যাটেলকে। অশ্বীন এখনও পর্যন্ত স্থানীয় কোনও নির্বাচনে জয়ী হয়েনি। এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মধুভাই শ্রীবাস্তব বলেছেন , বিজেপির এই আচরণে তিনি খুবই ক্ষুব্ধ হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তিনি আরও বলেছেন ১৯৯৫ সালে তিনি বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন। তারপরই গুজরাটের দায়িত্ব পাওয়ার পরেই নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ তাঁকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তাতেই সাড়া দিয়ে তিনি গেরুয়া শিবিরের থেকে গিয়েছিলেন।
যাইহোক দুই দফায় গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন। ডিসেম্বরের ১ ও ৫ তারিখে হবে ভোট গ্রহণ। ফল প্রকাশ আগামী ৮ ডিসেম্বর। এখনও পর্যন্ত বর্তমান ৩৮ জন বিধায়ককে বাদ দিয়েই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি।