সংক্ষিপ্ত

সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভাইরাল জলমগ্ন সেই এয়ারপোর্টের ছবি। একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে এয়ারপোর্টের রাস্তা এমনকী রানওয়ে, টার্মিনালও জলের তলায়।

দিল্লি উত্তরপ্রদেশের পর এবার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত গুজরাট। শনিবার থেকেই টানা বৃষ্টি গুজরাটের একাধিক এলাকায়। আট ঘন্টায় মোট ২১৯ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে হড়পা বান দেখা দেওয়ায় একাধিক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শনিবার জলমগ্ন হয়ে পড়ে আহমেদাবাদ এয়ারপোর্ট। প্রায় হাঁটু জল পেরিয়ে ফ্লাইট ধরতে হল যাত্রীদের। এয়ারপোর্টের বিস্তীর্ণ এলাকা। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভাইরাল জলমগ্ন সেই এয়ারপোর্টের ছবি। একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে এয়ারপোর্টের রাস্তা এমনকী রানওয়ে, টার্মিনালও জলের তলায়। জুতো হাতে নিয়ে জল পেরিয়ে বিমানবন্দরে ঢুকতে হচ্ছে যাত্রীদের।

বিমানবন্দরে জল জমে যাওয়া চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের। হাঁটু জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে লম্বা লাইন পেরিয়ে প্রথমে চেন ইন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেও আদৌ বিমান ধরতে পারবেন কিনা সেই চিন্তায় ছিলেন সকলেই। বিমানবন্দরের তরফে একটি টুইটে বলা হয়েছে বিমানবন্দর লাগোয়া চত্বরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণ জল জমে গিয়েছে। সব যাত্রীদের অনুরোধ করার হচ্ছে যাত্রা শুরুর আগে নিজ নিজ এয়ারলাইন্সে তাঁরা যেন সবাই চেক-ইন করে নেন।

 

 

প্রসঙ্গত, নাগারে বৃষ্টিতে ক্রমশ বাড়ছে যমুনার জল। একাধিক এলাকায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে যমুনার জল। লালকেল্লার পর এবার তাজমহলে ধাক্কা দিচ্ছে যমুনার জল। তবে তাজমহল গ্রাস করবে যমুনার জল, তৈরি হচ্ছে আশঙ্কা। সমীক্ষা বলছে গত ৪৫ বছরে এই প্রথম তাজমহলের পাঁচিল ছুঁল যমুনার জল। সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই আগ্রায় ৪৯৫ ফুট উচু দিয়ে বইছে যমুনার জল। আগ্রা পুরসভার কমিশনার অঙ্কিত খান্ডেলওয়ালের কথায়, 'গত ৩ দিন ধরে জলস্তর বাড়ছেই। যেখানেই জলস্তর বিপদসীমা পার করছে, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।' আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া-এর বক্তব্য অনুযায়ী হেরিটেজ সাইটের কোনও ক্ষতির আশঙ্কা আপাতত নেই।

 

 

গত রবিবারই যমুনায় ১ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছিল হরিয়ানা সরকার। আরও জল ছাড়লে সেক্ষেত্রে বিপদে পড়তে হতে পারে রাজধানীর বাসিন্দাদের। দিল্লি প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে যমুনায় আরও জল ছাড়া হলে দিল্লির উপর বয়ে যাওয়া নদীর জলস্তর আরও বেড়ে যেতে পারে। ফলে প্লাবিত হতে পারে দিল্লির একাধিক এলাকা। দিল্লির সেচ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ দফতরের জানানো হয়েছে রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ হরিয়ানার হাতনিকুন্ড জলাধার থেকে ১,০৫,৪৫৩ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। সাধারণত এই পরিমানটা থাকে ৩৫২ কিউসেকের মধ্যে। এই জল দিল্লি পর্যন্ত আসতে সময় লাগে প্রায় দু'তিন দিন।