সংক্ষিপ্ত
- গুলশন কুমার হত্যা মামলা
- মার্চেন্টের সাজা বহাল
- ক্ষমা করতে নারাজ বোম্বে হাইকোর্ট
- জেল পালানো ইতিহাস রয়েছে
টি-সিরিজের (T-Serise) এর প্রতিষ্ঠাতা তথা বলিউড প্রযোজক গুলশন কুমার হত্যা মামলায় বন্দুকবাজ আবদুল রউফ মার্চেন্টের সাজা বহাল রাখল বোম্বে হাইকোর্ট। ১৯৯৭ সালে গুলশন কুমারকে হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০০২ সাল তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মার্চেন্ট, গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগী ছিল। সার্পশ্যুটার হিসেবেই তার পরিচিতি ছিল তৎকালীন বোম্বের আন্ডারওয়ার্ল্ডে।
বিচারপতি এসএস যাদব এবম এনআর বোরকরের একটি বেঞ্চ মার্চেন্টর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ বহাল রেখেছেন। আদালত জানিয়েছে, অতীতে একাধিক আইনভাঙার ইতিহাস রয়েছে। তারা সাজা মকুব করা হবে না। তবে বোম্বে হাইকোর্ট তাকে আবেদন করার অনুমতি দিয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৯২ আর ৩৯৭ ধারা দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। মার্চেন্টের বিরুদ্ধে ডাকাতি,আর খুনের চেষ্টার মত অপরাধা সংঘটিত করার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। আসামী আব্দুল রশিদ, আগেই দায়রা আদালত থেকে খালাস পেয়েছিল তাকেও বোম্বে হাইকোর্ট দোষী সাব্যস্ত করেছে। এখন মুক্তির বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র সরকারের দায়ের করা মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
টি-সিরিজের গুলশান কুমরাকে ১৯৯৭ সালে ১২ই অগাস্ট পশ্চিম আন্ধেরীর একটি মন্দিরের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে যে, ব্যবসায়িক বিদ্বেষের কারণেই এই হত্যাকাণ্ড। গুলশান কুমার হত্যার পাঁচ বছর পরে একটি ট্রায়াল আদালত একমাত্র মার্চেন্টকেই দোষী সাব্যস্ত করার প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ পেয়েছিল। তাতেই টিপস-এর মালিক রমেশ তৌরানিসহ ১৯ জন অভিযুক্তকে মুক্তি দিয়েছেল। তৌসানিদের বিরুদ্ধে আবেদন খারিজ করে পৃথক আদেশও দিয়েছে হাইকোর্ট।
আদালত জানিয়েছে আবদুল রউফ মার্চেন্টের অপরাধের পূর্ব ইতিহাস ছিল। গ্রেফতারের পরেই সে পালিয়ে যায়। তাই ক্ষমা চাওয়ার কোনও অধিকার তার নেই। ২০০৯ সালে তাকে ফার্লুতে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্যারোলে থাকার সময়ই সে পালিয়ে যায়। তারপর পতালক অবস্থায় পুনরায় শুরু করে আপরাধমূলক কাজকর্ম শুরু করে। তার এজাতীয় আচরণ বিচারব্যবস্থাকে কোনও রকম মান্যতা দেয়না বলেও স্পষ্ট করে জানিয়েছে আদালত।