সংক্ষিপ্ত

বিষ্ণু শঙ্কর বলেছেন, এর কোনও আইনি মূল্য নেই। CPCএর ২৩ নম্বর আদেশে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যতক্ষণ পর্যন্ত সব পক্ষ একমত না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত কোনও আপোস করা যাবে না।

 

জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলা আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি হবে না। বৃহস্পতিবার এই কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন হিন্দুপক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীভূত প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র বা CPCের অধীনে জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি করা সম্ভব নয়। বিশ্ব বৈদিক সনাতন সংঘের আন্তর্জাতিক সভাপতি জিতেন্দ্র সিং বিসেন আঞ্জুমান ইন্তেজোমিয়াকে জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলা আউট অব কোর্ট বা আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই কথা বলেছেন, বিষ্ণ শঙ্কর।

বিষ্ণু শঙ্কর বলেছেন, 'এর কোনও আইনি মূল্য নেই। CPCএর ২৩ নম্বর আদেশে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যতক্ষণ পর্যন্ত সব পক্ষ একমত না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত কোনও আপোস করা যাবে না। দেশে ও সমাজ সংক্রান্ত বিষয়ে- যেখানে সমগ্র সমাজকে জড়িয়ে কোনও এক প্রতিনিধি মামলা দায়ের করে সেখানে এই বিষয় সম্ভব নয়।' তিনি আরও বলেন, কোনও একজন ব্যক্তি একটি নির্দিষ্ট দল যদি একা একা এই সিদ্ধান্ত নেয় বা আদালতের বাইরে মামলার নিষ্পত্তি করতে চায় তাহলে তারা তা পারে না। সুতরাং আদালতের বাইরে নিষ্পত্তির এই উদ্যোগ সিপিসির অধীনে সম্ভব বয়। কারণ এটি আইনত সম্ভব নয়।

তিনি বলেছেন, 'আমাদের পক্ষ বা ক্লায়েন্টদের কেউই নিষ্পত্তির জন্য প্রস্তুত নয়।' হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন বলেন, তারা আপোস করতে ইচ্ছুক নয়। কারণ এটি করার বেশ কিছু অধিকার তাদের ছেডডে দিতে হবে। কিন্তু হিন্দু পক্ষ থেকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে রাজি নয় তা আরও একবার স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন হিন্দু পক্ষের আইনজীবী।

দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে সূচনা বিন্ধ্যগিরি, অত্যাধুনিক এই রণতরীর ১০টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রইল

আইনজীবী আরও বলেন, 'আমি জিজ্ঞাসা করতেচাই মীমাংসা বা সমঝতা কীভাবে হবে? একটি আপোস তখই সম্ভব যখন আপনি কিছু অধিকার ছেডে দিতে রাজি থাকেন। অন্য ব্যক্তিও তাদের কিছু অধিকার ছেড়ে দেয়। এখনে (জ্ঞানবাপী মসজিদ) আমরা একটুও ছাড়তে প্রস্তুত নই। ব্যারিকেডের ভিতরে ইঞ্চি জমিও আমরা দিতে রাজি নই। আমরা ব্যারিকেডের ভিরতে পুরো জমি চাই।' এদিন হিন্দু পক্ষের আইনজীবী মুসলিমদেরও নিশানা করেন। তিনি বলেন, যেভাবে একটি মন্দির কমপ্লেক্সকে এতদিন ধরে মসজিদ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে তা অত্যান্ত নিন্দনীয়। মুসলিমদের উচিৎ এরজন্য ক্ষমা চেয়ে নেওয়া। তাই আপোসের কোনও প্রশ্নই ওঠে না।

পতিতা বা সতী শব্দ ব্যবহার করা যাবে না, লিঙ্গবৈষম্য রুখতে নতুন হ্যান্ডবুক সুপ্রিম কোর্টের

জ্ঞানবাপী সমজিদের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার সমীক্ষা চলছে। মসজিদটি হিন্দু মন্দির ভেঙে তৈরি হয়েছিল কিনা তা জানতে চেয়েই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার রায়ের পরিপ্রেক্ষিতেই এই সমীক্ষা চলছে। সূত্রের খবর সমীক্ষায় নাকি মসজিদের গায়ে একাধিক ত্রিশূল , ফুল, চক্র-এর ছবি পাওয়া গেছে। যা হিন্দুদের ধর্মীয় প্রতীক বলেও দাবি করা হয়। অনেকেরই দাবি জ্ঞানবাপী সমজিদ শিবমন্দিরের ধ্বংসস্তূপের ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল মোঘল আমলে।

'মণিপুরে শান্তি ফিরতে পারে না', কেন এমন কথা বলছেন কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ