সংক্ষিপ্ত
এলাহাবাদ হাইকোর্ট মঙ্গলবার রায় দিয়েছে যে, উপাসনার স্থান আইন অনুযায়ী, হিন্দু উপাসকদের দ্বারা মসজিদ প্রাঙ্গণে মন্দির পুনরুদ্ধার করার জন্য দায়ের করা দেওয়ানী মামলাগুলিতে কোনও বাধা নেই।
কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের সংলগ্ন জ্ঞানবাপী মসজিদের ব্যবস্থাপনার দেখাশোনা করে আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি (এআইএমসি)। হিন্দু আবেদনকারীরা জ্ঞানবাপী মসজিদের চত্বরে একটি হিন্দু মন্দির পুনরুদ্ধার করতে চেয়েছিলেন। এই বিষয়ে তাঁরা বারাণসীর একটি আদালতে মামলা দায়ের করেন। বারাণসির আদালতের তরফে হিন্দু মন্দিরের পুরাতত্ত্ব জরিপ করার অনুমতি দেওয়া হয়। ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল, সেই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করেছিল, এআইএমসি এবং উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড। সেই মামলাতেই এবার উল্লেখযোগ্য রায় দিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট।
-
হিন্দু পক্ষের মতে, জ্ঞানবাপী মসজিদটি মন্দিরের একটি অংশ, তাঁদের দাবি মসজিদের ওজুখানার জলাধারে একটি শিবলিঙ্গ রয়েছে।। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সমীক্ষা বিভাগ এএসআই-এর তরফ থেকে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশে অবস্থিত জ্ঞানবাপি প্রাঙ্গনের বৈজ্ঞানিক জরিপ চালানো হয়, মসজিদটি কোনও প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের কাঠামোর উপর নির্মিত হয়েছিল কিনা, তা নির্ধারণ করার জন্য। সেই জরিপটি জেলা আদালতের নির্দেশে পরিচালিত হয়েছিল, মসজিদের গম্বুজ, সেলার এবং পশ্চিম দেয়ালের নীচে জরিপ করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। আদালত এএসআইকে কাঠামোর কোনও ক্ষতি না হয়, তা নিশ্চিত করতে বলেছিল।
-
এলাহাবাদ হাইকোর্ট বারাণসী জেলা আদালতের আদেশই বহাল রেখেছে। হাইকোর্ট মঙ্গলবার রায় দিয়েছে যে, উপাসনার স্থান আইন অনুযায়ী, হিন্দু উপাসকদের দ্বারা মসজিদ প্রাঙ্গণে মন্দির পুনরুদ্ধার করার জন্য দায়ের করা দেওয়ানী মামলাগুলিতে কোনও বাধা নেই। বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়ালের বেঞ্চ আজ মসজিদ কমিটির চ্যালেঞ্জ প্রত্যাখ্যান করেছে। এলাহাবাদ হাইকোর্ট বলেছে যে, জ্ঞানবাপী চত্বরে একটা মুসলিম চরিত্রও থাকতে পারে, আবার একটা হিন্দু চরিত্রও থাকতে পারে। আদালত ট্রায়াল কোর্টকে নির্দেশ দিয়েছে যাতে, অতি দ্রুত ৬ মাসের মধ্যে মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
-
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।