সংক্ষিপ্ত

মুসলমান মানুষদের বয়কট এবং হিন্দু ধর্মীয়দের শ্রাবণ মাসের উদযাপনের মধ্যেই শুরু হল মসজিদের পরীক্ষানিরীক্ষার কাজ। কোনও খবর না দিয়েই মিটিং ডাকা হয়েছিল বলে বিরোধিতা করছে ইসলামপন্থী সংগঠন। 

মুসলমান মানুষদের বয়কট ব্যতীত রেখেই কাশী বিশ্বনাথ ধাম ক্যাম্পাসের মধ্যে শুরু হল জ্ঞানবাপী মসজিদের সমীক্ষার কাজ। প্রাচীনকালের হিন্দু শিব মন্দির ভেঙেই ইসলাম ধর্মীয়দের মসজিদ তৈরি হয়েছিল কিনা, তা প্রমাণ করে দেবে বিশেষজ্ঞদের কার্বন ডেটিং পরীক্ষা। বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের (Archeological Survey of India) তরফ থেকে দিল্লি, আগ্রা, পটনা এবং বারাণসী কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত মোট ৩০ জন সদস্যের একটি দল সোমবার ভোর থেকেই মসজিদ চত্বরে এই কাজ শুরু করেছে, তাঁদের ঘিরে রাখা হয়ে কড়া নিরাপত্তার বেড়াজাল।

রাখি সিং, লক্ষ্মী দেবী, মঞ্জু ব্যাস সহ উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন সরকারি আধিকারিক, তাঁদের আইনজীবী সুধীর ত্রিপাঠি এবং সুভাষ নন্দন চতুর্বেদী, ডিজিসি (সিভিল) মহেন্দ্র নাথ পান্ডেও এই সমীক্ষায় যোগ দিতে পৌঁছেছেন। তবে, জ্ঞানবাপী মসজিদ পরিচালনা কমিটি- আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদের (AIM) যুগ্ম সম্পাদক এস এম ইয়াসিন স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, এএসআই (ASI) জরিপে এই ইসলামপন্থী কমিটির কোনও প্রতিনিধিত্ব নেই। এআইএম-এর দাবি, আগে থেকে কোনও খবর না দিয়েই রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সভায় এই সমীক্ষার বিষয়ে একটি মিটিং ডাকা হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমরা আধিকারিকদের একটা দিন সময় দিতে অনুরোধ করেছিলাম, কারণ আমরা সুপ্রিম কোর্টে একটি অবমাননার আবেদন করেছি, যেটার শুনানি সোমবার হওয়ার কথা। কিন্তু, ওরা আমাদের অনুরোধ শোনেনি।” এই কারণেই মুসলমান মানুষের সম্প্রদায় আজকের এই সমীক্ষা বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

হিন্দু পক্ষের আইনজীবী সুধীর ত্রিপাঠী এবং সুভাষ নন্দন চতুর্বেদী দাবি করেছেন যে, জেলা বিচারকের ২১ জুলাইয়ের আদেশ অনুসারে, ASI জরিপ হবে এবং মামলার যে কোনও অংশের অনুপস্থিতিতেও এই কাজ করা যেতে পারে। ASI জরিপ সেই সমস্ত তথ্য সামনে নিয়ে আসবে, যেগুলি হিন্দুদের পক্ষের দাবিকেই ন্যায্য বলে প্রমাণ করবে যে, জ্ঞানবাপী মসজিদের কাঠামো একটি হিন্দু মন্দিরের উপর নির্মিত। পুলিশ কমিশনার অশোক মুথা জৈন-ও সোমবার কাশী বিশ্বনাথ ধামে পৌঁছেছেন।

সমীক্ষার জন্য, মসজিদের পশ্চিম দেয়ালের নির্মাণের বয়স এবং প্রকৃতির বিষয়ে তদন্ত করতে হবে, তিনটি গম্বুজের নীচে, পশ্চিম দেওয়ালের পাশাপাশি সমস্ত সেলারের মাটিতে একটি জিপিআর জরিপ করতে হবে এবং প্রয়োজনে মাটি খুঁড়তেও হতে পারে। এএসআই সমস্ত প্রত্নবস্তুর একটি তালিকা তৈরি করবে, যা জরিপের সময় মসজিদের ভেতরে পাওয়া যাবে। বৈজ্ঞানিক তদন্ত হবে এবং এই ধরনের প্রত্নবস্তুর বয়স এবং প্রকৃতি খুঁজে বের করার জন্য সাল, তারিখ অনুশীলন করা হবে। প্রত্যেকটি প্রত্নবস্তুর ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় গুরুত্বও বিবেচনা করা হবে।

আরও পড়ুন-

RRKPK Censor: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! ‘ব্রা’ ‘বেহেন*দ’-এ ভর্তি ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’
Gujarat Rain: রাস্তায় চলছে কুমীর, সিংহ! গুজরাটের বন্যায় মুড়ি-মুড়কির মতো ভেসে যাচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার

আবার শিরোনামে ভারত-পাকিস্তান প্রেমের কাহিনী, প্রেমিকের টানে বর্ডার পার করে ছুটলেন বিবাহিতা মহিলা

Sex Tips: হাতে সময় না থাকলে চটজলদি উদ্দাম যৌনরসের মজা উপভোগ করবেন কীভাবে?