সংক্ষিপ্ত

দুপুরে দিল্লিতে শিলাবৃষ্টি সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিও
একধাক্কায় কমে গেল তাপমাত্রা
বৃষ্টির কারণে ট্রাফিক জ্যামে দুর্ভোগ যাত্রীদের
প্রবল বৃষ্টি কি কমাতে পারে করোনার প্রকোপ

কেউ যেন উড়িয়ে দিয়েছিল রাশি রাশি সাদা তুলো। শনিবার দিল্লির রাজপথ দেখে তেমনই মনে হল। আচমকাই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পড়ল শিল। প্রকৃতির এই রূপে তখন মুগ্ধ দিল্লিবাসী। হাতের মুঠোফোনে একের পর এক ক্লিক দিতে ব্যস্ত পথচলতি সাধারণ মানুষ। কিন্তু তখনও তাঁরা জানতে না কতটা কঠোর বাস্তব অপেক্ষা করে আছে তাঁদের জন্য। কারণ সামান্য বৃষ্টি হলেই দিল্লির রাজপথে প্রায় স্তব্ধ হয়ে যায় গাড়ির গতি। সেই নিয়মের কোনও ব্যক্তিক্রম হয়নি এদিনও। প্রবল বৃষ্টি আর শিলাবৃষ্টির কারণে এদিনই সপ্তাহের শেষ কাজের দিনেও তীব্র যানজনে পড়তে হল আম আদমিকে। তবে স্বস্তি দিয়েছিল আবহাওয়া। 


প্রবল বৃষ্টি আর শিলা বৃষ্টির কারণে দিল্লিতে এদিন তাপমাত্রা একধাক্কায় নেমেযায় অনেকটাই। গতকালও যেথানে তামপাত্রার পারদ ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে এদিন সেখানেই তাপমাত্রার পারদ ছিল ঘোরাফেরা করেছে ১৯ থেকে ২০ ডিগ্রির আশেপাশে। 

আরও পড়ুনঃ মোদির ডাকে সাড়া, করোনা মোকাবিলায় ভারতের সঙ্গে কথা বলতে রাজি পাকিস্তান

সবছাড়িয়ে দিল্লির বাসিন্দাদের এদিন মুগ্ধ করেছে প্রকৃতি। প্রবল শিলাবৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গেই টর্নেডোর গতিয়ে সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে। কেই রয়েছেন গাড়িতে। কারও আবার ক্যানভ্যাস নিজের বাড়ির ছাদ। যে ছাদ ঢেকে গেছে সাদা সাদা শিলে। 

আরও পড়ুনঃ করোনাভাইরাসের কোপ মাউন্ট এভারেস্টেও , নেপালে কর্মহীন প্রায় ২০,০০০

এতকিছুর পরেও একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, প্রকৃতির এই সুন্দর রূপ কি মুক্তি দিতে পারবে ভয়ঙ্কর করোনার জীবানু থেকে। কারণ এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত প্রায় ৫ জন। মৃত্যু হয়েছে একজনের। প্রাথমিক পরীক্ষার পর অনেক বিজ্ঞানী মনে করছেন বায়ু থেকে নয়। করোনা মূলত ছড়িয়ে পড়ে মাটি বা কোনও পদার্থ থেকে। প্রবল বৃষ্টিতে স্নান করে নিয়েছে রাজধানীর বিস্তীর্ণ এলাকা। তাই কি ঢুয়ে মুছে সাফ হয়ে যেতে পারে জীবানু? তেমনই আশা করছেন সাধারণ মানুষ।