সংক্ষিপ্ত

বক্স অফিস সাফল্যের পাশাপাশি 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' (The Kashmir Files) নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক অব্যাহত। বিবেক অগ্নিহোত্রী (Vivek Agnihotri) পরিচালিত ফিল্মটি দেখে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্সের (National Conference) নেতা ফারুক আবদুল্লাহ (Farooq Abdullah) ফাঁসিতে ঝুলতে চাইলেন। 

বক্স অফিসে রেকর্ড আয় করে চলেছে দ্য কাশ্মীর ফাইলস' (The Kashmir Files)। তবে, শুধু বক্স অফিস সাফল্যই নয়, বিবেক অগ্নিহোত্রী (Vivek Agnihotri) পরিচালিত এই ফিল্ম দীর্ঘদিন পর, ফের কাশ্মীরি হিন্দুদের গণহত্যা ও দেশত্যাগে (Kashmiri Hindus) বাধ্য করার বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনাকে উসকে দিয়েছে। এরইমধ্যে, ছবিটি মুক্তির পর থেকে রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে থাকা, জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, ফারুক আবদুল্লাহ (Farooq Abdullah )বললেন তিনি দেশের যে কোনও জায়গায় ফাঁসিতে ঝুলতে প্রস্তুত। 

'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপের খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের গণহত্যা এবং জোর করে দেশ ছাড়তে বাধ্য করার বিষয়ে তৈরি এই চলচ্চিত্রকে একপেশে বলে অভিহিত করেছে কংগ্রেস (Congress), ন্যাশনাল কনফারেন্সের (National Conference) মতো বিরোধী দল। আবার, বিজেপি দলের নেতারা দাবি করছেন, এই ছবি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের যন্ত্রণাকে নথিবদ্ধ করেছে। এই অবস্থায় ইন্ডিয়া টুডে টিভিকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাতকারে ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের নেতা ফারুক আবদুল্লা বলেছেন, এই ঘটনার জন্য দায়ী প্রমাণিত হলে, তিনি দেশের যে কোনও জায়গায় ফাঁসিতে ঝুলতে প্রস্তুত। 

তিনি বলেন, তবে, একজন সৎ বিচারক বা কমিটি তদন্ত করলে, তবেই আসল সত্য বেরিয়ে আসবে। জানা যাবে ওই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য কে দায়ী। এরপরই তিনি বলেন, ফারুক আবদুল্লাহ দায়ী প্রমাণিত হলে, তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হোক। কিন্তু যারা দায়ী নয় তাদেরকে দোষারোপ করাটা ঠিক নয়। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর নিজের বিচারে, তিনি দায়ী নন। 'তিক্ত সত্য' জানতে হলে, মানুষকে সেই সময়ের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (Intelligence Bureau) প্রধান বা কেরলের (Kerala) বর্তমান রাজ্যপাল, তথা  সেই সময়ের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরিফ মহাম্মদ খানের (Arif Muhammad Khan) সঙ্গে কথা বলা উচিত, বলে জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

ফারুক আবদুল্লা আরও দাবি করেছেন, ১৯৯০-এর দশকের গোড়ায় শুধু কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সঙ্গেই নয় বরং কাশ্মীরের শিখ (Sikhs) এবং মুসলমানদের (Muslims) সঙ্গেও কী ঘটেছিল, তার তদন্ত করার জন্য একটি সত্য কমিশন গঠন করা উচিত। তিনি বলেছেন, তাঁর দলের বিধায়ক, মন্ত্রী এমনকী তাঁর দলের ছোট কর্মীদেরও হত্যা করা হয়েছিল। ফারুকের ভাষায়, 'গাছের মাথা থেকে তাদের মাংস তুলতে হয়েছিল'। তাঁর মতে, ওই ঘটনা হিন্দু-মুসলমান ব্যতিরেকে কাশ্মীরের প্রত্যেককে প্রভাবিত করেছিল। রাজনৈতিক দলগুলির একাংশ জাতিগত শুদ্ধিকরণে (Ethnic Cleansing) আগ্রহী ছিল। সেই দিনের কথা ভাবলে তাঁর হৃদয় এখনও রক্ত ঝরে। আর এই কারণেই বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'ছবিকে তিনি একটি 'প্রোপাগান্ডা মুভি' বলে নিন্দা করেছেন।