সংক্ষিপ্ত
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক্সিকিউটিভ বোর্ড চেয়ারম্যান হচ্ছেন হর্ষ বর্ধন
- আগামী ২২ মে এই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- ১৯৪টি দেশের সাধারণ সমিতির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মনোনীত
- এর আগে জেপি নাড্ডা ২০১৬ সালে এই পদে ছিলেন
গত সোমবার জেনেভায় শুরু হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সাধারণ সভা। আর এই অধিবেশনের মাঝেই ভারতের জন্য এল গর্বের মুহুর্ত। জানা যাচ্ছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় এবার দুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব পেতে চলেছেন দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। আগামী ২২ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু'-র এক্সিকিউটিভ বোর্ড-এর চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব নিতে চলেছেন তিনি৷
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আগে হু-র এক্সিকিউটিভ পদে ছিলেন জাপানের ডঃ হিরোকি নাকাতানি। ৩৪ জন সদস্যের এক্জিকিউটিভ বোর্ডের চেয়ারম্যান তিনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ভারতের মনোনীত সদস্যকে এই পদে নিযুক্ত করার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে ১৯৪টি দেশের ওর্য়াল্ড হেল্থ অ্যাসেম্বলি। এর আগে দেশের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা ২০১৬ সালে এই পদে ছিলেন।
আরও পড়ুন: শ্রমিক স্পেশালে এবার জন্ম হল নবজাতকের, ফুটফুটে সন্তান নিয়ে বাড়ি ফিরলেন পরিযায়ী মা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার গ্রুপ সর্বসম্মতভাবে গত বছরে জানিয়েছিল ভারতকে ৩ বছরের জন্য একজিকিউটিভ বোর্ডের পদ দেওয়া হবে। তবে চেয়ারম্যানের পদটি হবে ১ বছরের জন্য আঞ্চলিকভাবে রোটেশন ভিত্তিতে। ১ বছর পরে তিনি সদস্য হিসেবে সেখানে থাকবেন। এরপরে পেশায় ইএনটি সার্জন হর্ষ বর্ধনের নির্বাচন একরকম নিশ্চিতই ছিল।
দায়িত্ব নেওয়ার পর বছরে দু' বার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক্সিকিউটিভ বোর্ডের বৈঠকের সভাপতিত্ব করতে হবে হর্ষ বর্ধনকে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য দেশগুলির সাধারণ বৈঠকে যে সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়, সেগুলি কার্যকর করা এবং তা রূপায়ণে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার ভার থাকে এই এক্সিকিউটিভ বোর্ডের উপরে৷ স্বাস্থ্যক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত এবং এই বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩৪ জন সদস্যকে নিয়ে এক্সিকিউটিভ বোর্ড গঠিত হয়৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য রাষ্ট্রগুলি এই প্রতিনিধিদের মনোনীত করে৷ ৩ বছরের জন্য এই বিশেষ ক্ষমতা পায় সদস্য দেশগুলি৷
আরও পড়ুন: শ্রমিক স্পেশালে এবার জন্ম হল নবজাতকের, ফুটফুটে সন্তান নিয়ে বাড়ি ফিরলেন পরিযায়ী মা
এদিকে করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণে প্রশ্নের মুখে পড়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভূমিকা। চিনের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে উঠেছে হু-এর প্রধানের বিরুদ্ধে। চিনের পাশাপাশি হু-এর ভূমিকা নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপিয়া ইউনিয়নের পাশাপাশি বিশ্বের ৬২টি দেশ তদন্তের দাবি করছে। যার মধ্যে রয়েছে ভারতও। এই অবস্থায় 'হু'-র এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান পদে ভারতের প্রতিনিধির বসা তাই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। বর্তমান পরিস্থিতিতে হর্ষ বর্ধনের এই নতুন দায়িত্ব আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চূড়ান্ত ব্যস্ত রয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। তার মধ্যেই সোমবার তিনি ৭৩ তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ রুখতে সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে ভারত৷ আগামী দিনে করোনা মোকাবিলায় ভারত আরও ভাল কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন হর্ষ বর্ধন৷