সংক্ষিপ্ত

  • ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন
  • ৭০ শতাংশ শক্তিশালী বলে দাবি করা হচ্ছে 
  • সংক্রমণের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে 
  • পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জরুরি বৈঠক ভারতে 
     

ব্রিটেনে পাওয়া গেছে করোনাভাইরাসের নতুন স্টেই। তাতেই কালো মেঘ দেখছে ভারত। আর সেই কারণেই সোমবার জরুরি বৈঠক ডেকেছে এদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। দেশের করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য বৈঠকে উপস্থিত থাকবে জয়েন্ট মনিটারিং কমিটির সদস্যরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভারতে নিযুক্ত প্রতিনিধি রডরিকো এইচ আফরিনও ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। 

ব্রিটেনে যে নতুন করোনাভাইরাসের স্টেই পাওয়া গেছে তা ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। বর্তমানে ব্রিটেনের পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। রীতিমত মাথার হাত পড়েছে সেদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। সংক্রমণ প্রতিহত করতে লকডাউনের পথেই হেঁটেছে ইংল্যান্ড। রবিবারই ব্রিটিশ সরকার সতর্ক করে দিয়েছে ভাইরাসটি শক্তিশালী। নতুন স্ট্রেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে। ইতিমধ্যেই ব্রিটেনের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ ছিন্ন করে দিয়েছে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ। করোনাভাইরসের নতুন স্ট্রেন নিয়ে সতর্ক করেছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেছেন, এটি খুবই দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি মনে করছেন নতুন স্ট্রেনের মাধ্যমেই বর্তমানে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। একটি ৭০ শতাংশ বেশি শক্তিশালী বলেও তিনি দাবি করেছেন। দক্ষিণ ইংল্যান্ডে দ্রুততার সঙ্গে বাড়ছে সংক্রমণ। সংক্রমণ রুখতে ক্রিসমাসের অনুষ্ঠান বাতিল করার আবেদনও জানিয়েছেন তিনি। 

ম্যারাথন বৈঠকের পরেই ইস্তফা দুই নেতার, তবে কি এবার বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে কংগ্রেসের অন্দরে ...

নতুন বছরের উপহার, জানুয়ারি-তেই দেশে শুরু হচ্ছে করোনা টিকার প্রথম শট, জানালেন হর্ষবর্ধন ... R


ভারতের স্বাস্থ্যসেবা অধিদফতরের সভাপতিত্বে যৌথ মনিটারিং কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে বৈঠক হবে। প্রথম অর্ধেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন নিয়েই মূলত আলোচনা হবে। পাশাপাশি দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করবেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু ভারতে বর্তমানে সংক্রমণের মাত্রা কিছুটা হলেও কমেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী টানা সাত দিন ধরে দৈনিক সংক্রমণের গড় ৩০ হাজারের নিচে ছিল। পাল্লা দিয়ে কমেছিল মৃত্যুর হারও। সুস্থতা ছিল যথেষ্টই আশাজনক। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকেই সংক্রমণের হার অনেকটাই কমে গিয়েছিলে। মহামারি থেকে মুক্তি পাওয়া নিয়ে আবারও  কিন্তু ব্রিটেনে করোনার নতুন স্ট্রেন নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিচ্ছে ভারতের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।