সংক্ষিপ্ত

টুইট করার পর অভিযুক্তরা জিভামেকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে এবং টাকা দাবি করে। কম্পিউটার স্নাতক সঞ্জয় সোনি একজন আইটি ইঞ্জিনিয়ার। জিভামে তাকে ১৫০০ ডলার দিয়ে শেষরক্ষা করার চেষ্টা করলেও ১৫০০ ডলার পেয়েও তিনি থামেননি।

রাজস্থানের উদয়পুরে হিন্দু মহিলাদের অন্তর্বাসের ডেটা হ্যাক করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডেটা হ্যাক করার পর এই ব্যক্তি নিজেই ই-কমার্স কোম্পানি জিভামেকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। অবশেষে বিষয়টি পুলিশের কাছে পৌঁছালে তার রহস্য ফাঁস হয়। সাইবার হান্টস চালানো এই ব্যক্তিকে এখন পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এবং তাকে সঞ্জয় সোনি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সঞ্জয় সোনি নামের এই ব্যক্তি Ziveme কোম্পানির সার্ভার হ্যাক করে হিন্দু মহিলাদের অন্তর্বাস সংক্রান্ত তথ্য চুরি করেছে। এতে মোবাইল নম্বর, ঠিকানা, জন্ম তারিখ এবং মহিলাদের অন্তর্বাসের সাইজ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ছিল। এই তথ্যের ভিত্তিতে, তিনি তার টুইটার হ্যান্ডেল 'সাইবার হান্টস' দিয়ে সংস্থাকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করেন। কোম্পানি পুলিশে অভিযোগ করার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। জেনে নিন গোটা ঘটনা।

সাইবার হান্টস কি?

সাইবার হান্টস একটি টুইটার হ্যান্ডেল যার ফলোয়ার ৪০ হাজারেরও বেশি। যে ব্যক্তি এই হ্যান্ডেলটি চালাচ্ছেন তিনি নিজেকে একজন কট্টর হিন্দু হিসাবে সামনে আনেন এবং একই রকম টুইট পোস্ট করেন। অভিযুক্ত সঞ্জয় সোনি একই হ্যান্ডেল থেকে টুইট করেন এবং অভিযোগ করেছেন যে জিভামে হিন্দু মহিলাদের অন্তর্বাসের ডেটা চুরি করে মুসলিম দেশে বিক্রি করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টুইট করার পর অভিযুক্তরা জিভামেকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে এবং টাকা দাবি করে। কম্পিউটার স্নাতক সঞ্জয় সোনি একজন আইটি ইঞ্জিনিয়ার। জিভামে তাকে ১৫০০ ডলার দিয়ে শেষরক্ষা করার চেষ্টা করলেও ১৫০০ ডলার পেয়েও তিনি থামেননি। তিনি তিনবার ৩০০ ডলার করে এবং একবার ১০০০ ডলার নেন। এর মধ্যে ১০০০ ডলার সঞ্জয় সোনির অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছিল এবং বাকি টাকা অন্য হ্যাকারদের অ্যাকাউন্টে গিয়েছিল।

জিভামে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে

যখন সংস্থাটি বুঝতে পারে যে এই ব্যক্তি ক্রমাগত ব্ল্যাকমেল করছেন, তখন জিভামে ডেটা হ্যাকিং এবং ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগ দায়ের করে। সংস্থাটি আরও স্পষ্ট করেছে যে তারা এই ডেটা কারও সাথে শেয়ার করেনি। রাজস্থান এসওজি বিষয়টি তদন্ত করতে বেশ কয়েকটি টুইটার অ্যাকাউন্ট, তাদের টুইটের অবস্থান এবং তাদের ডিভাইসগুলি সনাক্ত করেছে। অবশেষে পুলিশ সঞ্জয় সোনির কাছে পৌঁছে তাকে গ্রেফতার করে।

রাজস্থান পুলিশ জানিয়েছে, সঞ্জয় সোনি এবং তার অবস্থান থেকে সাইবার ডেটা হ্যাকিংয়ে ব্যবহৃত অনেক স্মার্টফোন, ল্যাপটপ এবং আরও অনেক কিছু পাওয়া গেছে। এখন পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে, যাতে জানা যায় সে কখন থেকে এ ধরনের কাজ করে আসছে এবং কতজন এর শিকার হয়েছে।