সংক্ষিপ্ত
স্ত্রীর হাত, পা, উরু ও ঘাড় টুকরো টুকরো করে নদীতে ফেলে দেয়। অপরাধ করার পর সুরুদা থানার পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণকারী অভিযুক্ত স্বামী নিজের স্বীকারোক্তি দেয়।
মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এসেছে ওডিশা থেকে। ২৮ বছর বয়েসী এক শ্রমিককে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছে স্ত্রীকে হত্যার অপরাধে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীকে হত্যা করে, তার দেহের টুকরো টুকরো করে ও নদীতে ভাসিয়ে দেয়। নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার আগে তাঁর স্ত্রীর দেহের ছটি টুকরো করে। গঞ্জাম জেলার সুরুদা থানার সীমানার অন্তর্গত ভগবানপুর গ্রামে রুশিকুল্যা নদীতে ফেলে দেয়। নারায়ণ মুলি নামে ওই ব্যক্তি তার স্ত্রী বুলি মুলিকে বেল্ট দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানাচ্ছে পরে স্ত্রীর হাত, পা, উরু ও ঘাড় টুকরো টুকরো করে নদীতে ফেলে দেয়। অপরাধ করার পর সুরুদা থানার পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণকারী অভিযুক্ত স্বামী নিজের স্বীকারোক্তি দেয়। অভিযুক্তের বয়ান অনুযায়ী দম্পতি প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন এবং তিন মাস আগে তাদের পরিবারের অনুমতি নিয়ে সামাজিক ভাবে বিয়ে করেন। তবে কেন তিনি তাঁর স্ত্রীকে এভাবে হত্যা করলেন, সেই কারণ এখনও অজানা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
যদিও পুলিশ এখনও হত্যার কারণ খুঁজে বের করতে পারেনি, তারা অভিযুক্তের সঙ্গে নদীর তীরে গিয়ে মহিলার দেহাংশ খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। কিন্তু সফল হয়নি। অন্যদিকে, পুলিশ নারায়ণের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। তার পরিবারের অন্যান্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।