সংক্ষিপ্ত
ওয়াহিদার স্বামী মহসিন খান মারা গিয়েছিলেন বছর চারেক আগে। এরপরই এক কাবুলিওয়ালার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিনি। গত বছরের নভেম্বর মাসে নগাঁও সদর থেকে ছেলেকে নিয়ে গাড়িতে ওঠেন ওয়াহিদা।
কাবুলিওয়ালার প্রেমে পড়েই কি সীমান্ত পেরিয়েছিলেন অসমের বধূ ওয়াহিদা? গত বছরের নভেম্বর মাস থেকেই ছেলে-সহ নিখোঁজ ছিলেন ওয়াহিদা। ঘটনার এক মাসের মধ্যেই ওয়াহিদার পরিবার জানতে পারে ছেলে নিয়ে পাকিস্তানের জেলে বন্দি ওয়াহিদা। অসমের নগাঁও থেকে পাকিস্তানের কোয়েটার কারাগাড়ে কী ভাবে পৌঁছলেন ওয়াহিদা? সেই নেপথ্যের কাহিনী অনুসন্ধানেই সূত্র খুঁজছে পুলিশ। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে ওয়াহিদার স্বামী মহসিন খান মারা গিয়েছিলেন বছর চারেক আগে। এরপরই এক কাবুলিওয়ালার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিনি। গত বছরের নভেম্বর মাসে নগাঁও সদর থেকে ছেলেকে নিয়ে গাড়িতে ওঠেন ওয়াহিদা। কিন্তু তারপর থেকেই আর কোনও খোঁজ মেলেনি তাঁর। সূত্রের খবর নিখোঁজ হওয়ার আগে স্বামীর যাবতীয় সম্পত্তি ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছিলেন ওয়াহিদা। ঘটনার এক মাসের মাথায় ওয়াহিদার পরিবার জানতে পারে পাকিস্তানের জেলে পুত্র-সহ বন্দি ওয়াহিদা।
ওয়াহিদা বেগমের মা আরিফা বেগম জানিয়েছেন যে গাড়িটিতে করে শেষবারের মতো ওয়াহিদাকে দেখা গিয়েছিল পরে সেটিকে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনার পর থেকেই মেয়ে ও নাতির খোঁজ করতে শুরু করেন তিনি। পুলিশে এই মর্মে নিখোঁ ডায়রিও করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয় অপহরণ বলেই ভেবেছিলেন আরিফা বেগম। পরে গত ৩০ নভেম্বর একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন আসে আরিফার কাছে। তাঁকে জানানো হয় তাঁর মেয়ে ওয়াহিদা ও নাতি পাকিস্তানের জেলে বন্দি। ২৫ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের। এই মর্মে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী আইনি নোটিস ও ভারতীয় দূতাবাসে এই সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠানো হয় আরিফাকে।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে পাকিস্তানে আসার বৈধ কাগজপত্র না থাকায় পাক-আফগান চমন সীমান্তে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হন সপুত্র ওয়াহিদা। এই ঘটনা জানার পরই মেয়েকে ফেরাতে উদ্যোগী হন আরিফা বেগম। পুলিশের কাছে হত্যে দিয়েও কোনও আশানুরূপ ফল না মেলায় ভারতের পাক হাইকমিশনের যোগাযোগ করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও বিশেষ লাভ হয়েনি। এরপর আরিফা এই বিষয় রাষ্ট্রপতিকেও চিঠি পাঠান। কিন্তু তাতেও ফল হয়নি। তবু হাল ছাড়েননি আরিফা। দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেন তিনি। কিন্তু অবশেষে আজ সেখান থেকেও খালি হাতে ফিরতে হল আরিফাকে। ঘটনাস্থল দিল্লির এক্তিয়ারে পড়ে না বলে মামলা খারিজ করল আদালত।
আরও পড়ুন -
ফের পাকিস্তানে হামলা চালাতে চলেছে তালিবান, হুমকি ভিডিও শেয়ার করতেই ছড়ালো আতঙ্ক!
ইমরান খানকে হত্যার জন্য ৪ দিক থেকে গুলি চালান হয়েছিল, সামনে এল হাড়হিম করা তথ্য
সন্ত্রাস দমন শাখার দুই আধিকারিককে গুলি করে হত্যা, ফের রক্তাক্ত হামলার শিকার পাকিস্তান