মাত্র ১০ মিনিটের হামলাতেই রক্তাক্ত পহেলগাঁওর বৈসরান, তদন্তে উঠে এল হাড়হিম করা তথ্য
Pahalgaon Horror: পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলা তদন্ত শুরু হয়েছে। তাতে উঠে এসেছে হাড়হিম করা তথ্য। কতজন জঙ্গি ছিল, কতক্ষণ ধরে হামলা চলে, কীভাবে হামলা চালান হয়ে? তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছে নির্মম তথ্য।

পহেলগাঁও হামলা
২২ এপ্রিল রক্তাক্ত হয়েছিল ভূস্বর্গ। পর্যটকদের ওপর চরম আঘাত করে পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন। জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছে ২৬ জনের দেহ।
পহেলগাঁও হামলার তদন্ত
পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলা তদন্ত শুরু হয়েছে। তাতে উঠে এসেছে হাড়হিম করা তথ্য। কতজন জঙ্গি ছিল, কতক্ষণ ধরে হামলা চলে, কীভাবে হামলা চালান হয়ে? তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছে নির্মম তথ্য।
জঙ্গির সংখ্যা
নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রের খবর মাত্র পাঁচ জন জঙ্গি হামলা চালিয়েছিল পপহেলগাঁওর সবুজ বৈসরন উপত্যকায়।
টার্গেট
সূত্রের খবর জঙ্গিদের টার্গেট ছিল মূলত পর্যটকরা। তিন ফোকাস থেকে স্পস্ট করা হয়েছিল। জঙ্গিরা বৈসনরের সবুজ উপত্যকায় পাইন জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল। তিন দিক থেকে ঘুরে ঘরে গুলি চলিয়ে ছিল।
হামলার সময়
প্রাথমিক তদন্তের পর নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রের খবর, মাত্র ১০ মিনিট হয় গুলিবর্ষণ। তবে এই ১০ মিনিটই প্রচণ্ড গুলিবর্ষণ হয়। গুলির শব্দে কেঁপেউঠেছিল আশপাশের এলাকায়। জঙ্গি হামলার পরে যারা বেঁচে রয়েছে তাদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বডিক্যাম
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর জঙ্গিরা বডিক্যাম ব্যবহার করেছিল। হামলার পুরো ঘটনা রেকর্ড করার জন্যই এই ব্যবস্থা করেছিল। তবে এই নিয়ে তাদের হাতে এখনও স্পষ্ট কোনও তথ্য নেই। প্রথমিক অনুমান মাত্র। তবে জঙ্গিরা যে পৈশাচিক মানসিকতার তা অবশ্য তাদের হামলার ধরন থেকেই স্পষ্ট।
নাম জিজ্ঞাসা করে গুলি
হামলা থেকে যারা বেঁচে গিয়েছে তাদের কথা থেকে স্পষ্ট জঙ্গিরা প্রথমে নিরীহ পর্যটকদের কাছে নিয়ে তাদের নাম আর ধর্ম জিজ্ঞাসা করে। ইসলামিক আয়াত পরীক্ষা করে। তারপরই গুলি করে হত্যা করে। বেশিরভাগেরই মাথায় গুলি করা হয়।
পালানোর পথ
নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পর সন্ত্রাসীরা যে জঙ্গল থেকে এসেছিল তার দিকে পালিয়ে যায়। হামলার প্রায় ৩০ মিনিট পর দুপুর আড়াইটের দিকে পুলিশ এই বিষয়ে সতর্কতা পেয়েছিল।
বৈসরানের অবস্থান
পহেলগাঁও থেকে বৈসনার উপকত্যকা পর্যন্ত রাস্তা খুবই দুর্গম। গাড়ি প্রায় যায় না বললেই চলে। রাস্তায় রয়েছে ঝর্না, বন, আর কাদা-পাথর মেশান পথ। ট্রেকিং বা ঘোড়াই সম্বল। সাধারণ মানুষের যেতে কমপক্ষে ১ ঘণ্টা লাগে।
স্থানীয়দের অনুমান
পুলিশ ঘটনার প্রায় আধ ঘণ্টা পরে খবর পেয়েছিল। গিয়েছিল আরও অনেকক্ষণ পরে। সেই সময়ের মধ্যেই জঙ্গিরা চম্পট দেয়।

