সংক্ষিপ্ত

টাকা জোগাড় কররার পরিকল্পনা করার সময়ই প্রতারণার ছক মাথায় আসে। দলের মধ্যে কম বয়সী ছিল উর্মিলা। তাই তাকে সামনে রেখেও টোপ দেওয়া হত। অর্থবান বয়স্ক ব্যক্তি যারা বিয়ে করতে ইচ্ছুক তাদের সামনেই উর্মিলাকে টোপ হিসেবে ব্যাবহার করা হত। 


রিয়েল লাইফ হার মানাবে রিল লাইফকেও। অনেকটা গল্পের মতই কাণ্ডকারখানা ২৮ বছরের উর্মিলা আহারিরা (Urmila Ahirwar)। একের পর এক শীকার ধরে বিয়ে করে। তারপর সুযোগ বুঝেই স্বামীর (Husband) টাকা-পয়সা, গয়নাগাটি হাতিয়ে চম্পট দেওয়া। এভাবেই বেশ চলছিল। রীতমত একটি গ্যাংও তৈরি হয়েছিল উর্মিলাকে কেন্দ্র করে। যার নেত্রী অবশ্যই ২৮এর উর্মিলা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। অবশেষে গ্যাং-এর তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police)। তদন্তকারীদের অনুমান সবমিলিয়ে উর্মিলার দল প্রায় ৮ জনের সঙ্গে বিয়ে করে প্রতারণা করেছে। 

উর্মিলা মধ্যপ্রদেশের (Madha Pradesh) জব্বলপুরের বাসিন্দা। ২০ বছর বয়সে বিয়ে (Marriage) হয় অজয় আহারিয়ার সঙ্গে। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরেই অজয়ে মৃত্যু হয়। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে উর্মিলার। শ্বশুরবাড়ি থেকে ফিরে আশে বাপের বাড়িতে। জামাকাপড় সেলাই করেই সংসার চলে। কিন্তু অভাব দিনে দিনে বাড়তে থাকে। সেই সময়ই উর্মিলার পরিচয় হয় ভাগচন্দের সঙ্গে। অন্যদিকে উর্মিলার প্রতিবেশী অর্চনার মাধ্যমে আলাপ হয় শ্যাম নামে আরও এক যুবকের সঙ্গে। প্রত্যেকেই একটাই মিল ছিল- টাকার দলকার ছিল সকলেই। 

টাকা জোগাড় কররার পরিকল্পনা করার সময়ই প্রতারণার ছক মাথায় আসে। দলের মধ্যে কম বয়সী ছিল উর্মিলা। তাই তাকে সামনে রেখেও টোপ দেওয়া হত। অর্থবান বয়স্ক ব্যক্তি যারা বিয়ে করতে ইচ্ছুক তাদের সামনেই উর্মিলাকে টোপ হিসেবে ব্যাবহার করা হত। পাত্রের খোঁজ আনত শ্যাম। তারপরই বাকিরা বাবা মা সেজে উর্মিলার বিয়ে দিয়ে দিত। উর্লিমার বিয়ের পর সুযোগ বুঝে স্বামীর বাড়ি থেকে টাকা পায়সা আর গয়না হাতিয়ে চম্পট দিত।  

এভাবে ২ বছরে প্রায় সাত থেকে আট জনকে প্রতারিত করেছে। লুঠ করেছে প্রচুর টাকা ও সম্পত্তি। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। চলতি বছর ২ ফেব্রুয়ারি জব্বলপুরেই একটি ৪১ বছরের ব্যক্তিকে বিয়ে করে উর্মিলা। বিয়ের কিছু পরেই তার বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও অর্থলুঠ করে চম্পট দেয় উর্মিলা। কিন্তু সেই ব্যক্তি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। প্রথম ধরা পড়ে অর্চনা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পরেই একে একে দলের সব সদস্যদের নাগাল পায় পুলিশ। 

তবে উর্মিলাদের কাণ্ডকারখানা হার মানায় সিমেনাকে। অনেকটাই এরকমই একটি ছবি রিলিজ হয়েছিল ২০১৫ সালে। ডলি কি ডোলি। যেখানে সোনম কাপুর  বিয়ে করে স্বামীদের লুঠ করছেন। 

Facebook Live: ফেসবুক লাইভে অঝোরে কান্না, কথা বলতে বলতে আত্মহত্যা ব্যবসায়ীর

Aravali Biodiversity Park: সবুজের হাতছানি আর জঙ্গলের মেজাজ, দুটোই রয়েছে আরাবল্লি বায়োডায়ভার্সিটি পার্কে

আমলার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক স্বপ্না সুরেশ, সোনা পাচারকাণ্ড নিয়ে তোপ IAS M Sivashankar-র বিরুদ্ধে