সংক্ষিপ্ত
শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের মূল অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালা শ্রদ্ধাকে হত্যা করার কথা অবশেষে স্বীকার করলেন নার্কো টেস্টে। এমনকি খুনের অস্ত্র তিনি ঠিক কোথায় লুকিয়েছেন এবং হত্যার সময় শ্রদ্ধা যে পোশাক পড়েছিলেন সেটাও কোথায় সরিয়েছেন সেকথাও নার্কো টেস্টে জানান তিনি।
নার্কো টেস্টে শ্রদ্ধাকে খুন করার কথা স্বীকার করলেন আফতাব। বৃহস্পতিবার পুলিশ কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে সে কথা জানালেন সংবাদ মাধ্যমকে। শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের মূল অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালা শ্রদ্ধাকে হত্যা করার কথা অবশেষে স্বীকার করলেন নার্কো টেস্টে। এমনকি খুনের অস্ত্র তিনি ঠিক কোথায় লুকিয়েছেন এবং হত্যার সময় শ্রদ্ধা যে পোশাক পড়েছিলেন সেটাও কোথায় সরিয়ে দিয়েছেন সেকথাও নার্কো টেস্টে জানান তিনি।
এর আগেও আফতাবের নার্কো টেস্ট নিয়ে প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক তথ্য। এমনকি নার্কো টেস্টার সময় তিনি পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন এমন গুরুতর অভিযোগও উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। এরপর তার পলিগ্রাফি টেস্ট করানোর নির্দেশিকা জারি করে আদালত। এইসব করা হয় বিশেষত শ্রদ্ধা- খুনের প্রমান সংগ্রহ করার উদ্দেশ্যেই। কারণ খুনের পর খুব সন্তর্পনেই সমস্ত প্রমান লোপাট করেছিল আফতাব। এমনকি প্রমান লোপাট করার এই বিশেষ কৌশল সে রপ্ত করেছিল আমেরিকান একটি ওয়েব সিরিজ দেখে। কিন্তু এতো কিছু করেও নিজের দোষ ঢাকতে পারলেন না আফতাব।
সূত্রের খবর ছিল যে পশ্চিম দিল্লির রোহিনীতে ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে তার নার্কো টেস্ট করা হবে। এবং তার দেওয়া উত্তরে যদি ফরেনসিক দোল সন্তুষ্ট না হয় তবে ফের করা হবে এই টেস্ট। জানা গেছে পোলোগ্রাফি টেস্টার সময় যে প্রশ্নগুলি তাকে করা হয়েছিল সেগুলোই তাকে করা হয় নার্কো টেস্টে। এবং তিনি সব প্রশ্নেরই একই উত্তর দেন। তবে আফতাবের কিউতে পাওয়া শরীরের অংশগুলির ডিএনএ রিপোর্ট এখনও পায়নি পুলিশ। এটি পেলে তবে আরও একটি শক্তিশালি প্রমান পাওয়া যাবে আফতাবের বিরুদ্ধে।
যেকোনো মামলায় স্বীকারোক্তিই যথেষ্ট নয় তার সঙ্গে খুন হাওয়া লাশটিও প্রমাণস্বরূপ পেতে হবে পুলিশকে।খুন হাওয়া লাশ যতক্ষন না পাওয়া যাচ্ছে ততক্ষন তা গ্রহণযোগ্যতা পাবে না আদালতে। শ্রদ্ধা ওয়াকার মামলাতেও অভিযুক্ত আফতাব লাশটিকে এমনভাবে ৩৫ টি টুকরো করেছিল এবং তা মুম্বাইয়ের প্রান্তিক অঞ্চলগুলিতে ফেলে এসেছিলো যে সেগুলি খুঁজে পাওয়া দুস্কর হয়ে যায় পুলিশের। সেক্ষেত্রে নার্কো টেস্টে দেওয়া স্বীকারোক্তি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে আদালতে।