সংক্ষিপ্ত

  • কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে তরজা হরিয়ানা ও পঞ্জাবের 
  • কৃষকদের সমস্যা হলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন 
  • সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন মনোহর লাল খট্টর 
  • অমরিন্দর সিংকেও নিশানা করেন তিনি 

নূন্যতম সহায়ক মূল্য নিয়ে আবারও হরিয়ানা ও পঞ্জবাবের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। হরিয়ানা ও পঞ্জাবের সীমানা এলাকায় পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভকারী কৃষকরা এগিয়ে যায়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জল কামান ও টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটায়। কৃষক-পুলিশ সংঘর্ষ বাধে সাদোপুর সীমান্ত। সেখানেও পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে কৃষকরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আর কৃষক পুলিশ এই সংঘর্ষের ছবি সামনে আসার পরেই হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর রীতিমত বোমা ফাটান। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন নূন্যতম সহায়ক মূল্য নিয়ে যদি কোনও সমস্যা হয় তাহলে তিনি রাজনীতিত ছেড়েদেনে। 

হরিয়ানা ও পঞ্জবা প্রতিবেশী দুই রাজ্য। একটি বিজেপি শাসিত। অন্যটি কংগ্রেসের। বিজেপি নতুন কৃষি আইন লাগু করায় প্রথম থেকেই তার বিরোধিতা করে কংগ্রেস। আর কংগ্রেসের সেই বিক্ষোভে সামিল হয় পঞ্জাবের কৃষকরাও। কিন্তু দুই রাজ্যের সীমানা এলাকায় পঞ্জাবের কৃষকদের থামিয়ে দিতে চেষ্টা করে হরিয়ানা পুলিশ। 

তারই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর পরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে তুলোধনা করেন।  অমরিন্দর সিং-এর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনার মিথ্যা প্রচার আর প্রতারণার দিন শেষ হয়েছে। স্থানীয় মানুষকে আপনার নকল চেহারাটি দেখতে দিন। মহামারি চলাকালীন মানুষের জীবনকে বিপদে ফেলবেন না। জনগণের জীবন নিয়ে খেলা না করতেও অনুরোধ করেন তিনি। পাশাপাশি বলেন মহামারির এই সময় সস্তার রাজনীতি করবেন না। তিনি আরও বলেন তিন দিন ধরে অমরিন্দর সিং-এর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন তিনি। কৃষকদের ইস্যুতে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন বলেও জানিয়েছন খট্টর। তিনি আরও বলেন, অমরিন্দর সিং তাঁর সঙ্গে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন। 

জলবায়ুর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আহ্বান, জি সামিটে করোনা নিয়ে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর ...

করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির কাজ কত দূর, খতিয়ে দেখতে শনিবার পুনে সফর প্রধানমন্ত্রীর ...

তবে এটাই প্রথমবার নয়। এর আগে পঞ্জাবের কৃষকদের দিল্লি অভিযান আটকে দিয়েছিল হরিয়ানা পুলিশ। সেই অভিযানে সামিল ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। হরিয়ানা পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা করেছিলেন অমরিন্দর সিং। এবারও অমরিন্দর সিং পঞ্জাবের কৃষকদের বাধা দেওয়ার বিরোধিতা করেন। কেন খট্টর সরকার পঞ্জাবের কৃষকদের দিল্লি যেতে বাধা দিচ্ছেন? কেন কৃষকদের শান্তিপূর্ণ মিছিল জলকামান  দিয়ে ছত্রভঙ্গ করা হচ্ছে ? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। ক্যাপ্টেন সিং আরও বলেন প্রায় দু মাস ধরেই নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে। একই সঙ্গে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির কাছে তিনি কৃষকদের মিছিল না আটকানোর আবেদন জানিয়েছেন।