সংক্ষিপ্ত

১০ বছর আগে অভিনব উপায়ে ৬০তম সংবিধান দিবস পালন করেছিলেন মোদী

এই বিষয়ে তিনি তাঁর রাজ্যেরই এক জৈন পণ্ডিতকে অনুসরণ করেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে

আচার্য হেমচন্দ্রকে সমসাময়িক সব জ্ঞানের অধিকারী মনে করা হত

কীভাবে নরেন্দ্র মোদীকে পথ দেখিয়েছিলেন তিনি

১০ বছর আগে ২৬ নভেম্বর ছিল ভারতের ৬০তম সংবিধান দিবস। বৃহস্পতিবার (২৬.১১.২০২০) প্রধানমন্ত্রী নরেনদ্র মোদী স্মরণ করেছেন, ১০ বছর আগের দিনটি কীভাবে উদযাপন করা হয়েছিল গুজরাতে। তিনি সেই সময় ছিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। সংবিধানের একটি বিরাট প্রতিলিপি তৈরি করে, হাতির পিঠে চাপিয়ে ঘোরানো হয়েছিল। আর এই অভিনব উপায়ে সংবিধানকে শ্রদ্ধা জানানোর ভাবনাটা নরেন্দ্র মোদী সম্ভবত পেয়েছিলেন জৌন ধর্মগুরু হেমচন্দ্রাচার্য-এর কাছ থেকে।

কে ছিলেন এই আচার্য হেমচন্দ্র? তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় জৈন পণ্ডিত, কবি, গণিতবিদ এবং বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী এক ব্যক্তিত্ব। ব্যাকরণ, দর্শন, প্রবাদ, গণিত এবং সমসাময়িক ইতিহাস নিয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেছিলেন তিনি। ১০৮৮ সালে এক পূর্ণিমা তিথিতে তাঁর জন্ম হয়েছিল বলে মনে করা হয়। সমসাময়িক সমাজে তিনি এক বিস্ময় প্রতিভা হিসাবে পরিচিত ছিলেন। এর জন্য তিনি 'কলিকালসর্বজ্ঞ' উপাধি অর্জন করেছিলেন, অর্থাৎ যিনি কলিকালের সমস্ত জ্ঞানের অধিকারী।

আরও পড়ুন - গাছের পেটে হনুমান, বাঘের ছবি তুলতে গিয়ে আশ্চর্য ঘটনার সাক্ষী বন্যপ্রাণ ফটোগ্রাফারের

আরও পড়ুন - ২৫ বছর পর্যন্ত কমে যাচ্ছে বয়স, যুগান্তকারী আবিষ্কার ইজরাইলি বিজ্ঞানী-গবেষকদের

আরো পড়ুন - 'অন্যদের ছেড়ে মোদীকে আনুন', এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন ওয়াইসি

এই জৈন পণ্ডিতের কাছ থেকে কীভাবে অনুপ্ররণা নিয়েছিলেন তৎকালীন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী? প্রকৃত ও অপভ্রংশ ভাষার ব্যাকরণকেও অন্তর্ভুক্ত করে এক লক্ষ পঁচিশ হাজার শ্লোক সমন্বিত একটি বিস্তৃত ব্যাকরণ গ্রন্থ রচনা করেছিলেন হেমচন্দ্রাচার্য। গ্রন্থটির নাম ছিল 'সিদ্ধহেমচন্দ্র-শব্দানুশাসন'। জানা যায়, সেইসময়ে এই ব্যাকরণ গ্রন্থের একটি অনুলিপি একটি হাতির পিঠে চাপিয়ে পাটান শহর জুড়ে মহাআড়ম্বরে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়েছিল।

হেমচন্দ্রাচার্য ও হাতির পিঠে তাঁর ব্যকরণ গ্রন্থ

কয়েক শতাব্দী পর ভারতের সংবিধান গ্রন্থ নিয়েও একিরকম শোভাযাত্রা বের করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। নিজেও সেই শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন। আর এই ভাবনা তাঁর মাথায় এসেছিল গুজরাতের এই জৈন পণ্ডিতের কয়েক শতাব্দী আগের পদক্ষেপ থেকেই, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।