সংক্ষিপ্ত
গত ১৪ নভেম্বর নাগপুর থেকে কলকাতা আসার পথে বোমাতঙ্ক ছড়ায় ইন্ডিগো বিমানে। বিমানে ছিলেন ১৮৭ জন যাত্রী। ৬ জন বিমানকর্মী ছিলেন
নাগপুর-কলকাতা ইন্ডিগো বিমানে বোমাতঙ্কের হুমকি দিয়ে গ্রেফতার এক ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর এক কর্মকর্তা। গত নভেম্বর মাসে নাগপুর থেকে কলকাতাগামী বিমানে বোমাতঙ্কের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করে এক ব্যক্তিকে। সেই ব্যক্তি হলেন একজন গোয়েন্দা আধিকারিক। ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো বা আইবির নাগপু শাখার কর্মরত তিনি।
গত ১৪ নভেম্বর নাগপুর থেকে কলকাতা আসার পথে বোমাতঙ্ক ছড়ায় ইন্ডিগো বিমানে। বিমানে ছিলেন ১৮৭ জন যাত্রী। ৬ জন বিমানকর্মী ছিলেন। বোমার রাখার খবর আসার খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি বিমানটি ঘুরিয়ে ছত্তিশগড়ের রায়পুর বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সব যাত্রীকে বিমানথেকে নামিয়ে শুরু হয় তল্লিশি। কিন্তু দীর্ঘ সময় খোঁজাখুঁজির পরে জানা যায়। বোমার খবরটি ভুয়ো। এরপরেই রায়পুর থেকে অনিমেষ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অনিমের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৫১ (৪) ধারা ও বেসামরিক বিমান চলাচল আইনের অধীনে মামলা হয়। তবে সম্প্রতি অনিমেষের আইনজীবী ফয়জল রিজভি দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেল আদতে একজন গোয়েন্দাা অধিকারি। তিনি দাবি করেছেন বিমানে বোমা থাকতে পারে। এই সম্ভাব্য সূত্রের ভিত্তিতেই কাজ করছিলেন তিনি। কেন সংশ্লিষ্টের পরিচয় গোপন রেখেছিল পুলিশ- তাই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী।
যদিও রায়পুর পুলিশের সুপার সন্তোষ সিংহের পাল্টা দাবি, অনিমেষকে আটক করার পরপরই পুলিশের তরফে আইবি-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। আইবি এবং স্থানীয় পুলিশের যৌথ জিজ্ঞাসাবাদের পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের যুক্তি, বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন ওই যুবক। এই প্রসঙ্গে বলে ভাল মাস দুয়েক ধরেই ধারাবাহিকভাবে একাধিক ভারতীয় বিমান সংস্থার কাছে বোমা হামলার হুমকি পাঠান হচ্ছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।