প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৈঠকের পর বলেছেন, গত ৯ বছর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আগের তুলনায় আরও মজবুত হয়েছে। সম্পর্কের এই অগ্রগতি খুবই আনন্দদায়ক। 

জি২০ সামিট (G20 Summit) উপলক্ষ্যে এই দেশে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার জি ২০ শীর্ষ সম্মেলন শুরুর আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করার পাশাপাশি বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, 'ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।'

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৈঠকের পর বলেছেন, গত ৯ বছর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আগের তুলনায় আরও মজবুত হয়েছে। সম্পর্কের এই অগ্রগতি খুবই আনন্দদায়ক। বাণিজ্য সংযোগ, কানেক্টিভিটি সহ দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কার্যালয় সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় বৈচিত্র আনার বিষয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেছেন এই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁরা যোগাযোগ ব্যবস্থা , সংস্কৃতি-সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। পাশাপাশি দুই দেশের মানুষের সম্পর্কের উন্নতির ওপরেও জোর দিয়েছেন।

আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রায় ১৫জন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

Scroll to load tweet…

দিল্লিতে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোনেনও উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিষয়টি বৈঠকে খুবই গুরুত্ব পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, দুই দেশই আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিয়েছে। তিনি আরও বলেন এই দুটি জিনিস নষ্ট হলে দক্ষিণ এশিয়ায় তার প্রভাব পড়বে। যা একথায় শিকার করে ভারত আর বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, ভারত থেকে বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ চালু রাখতে শেখ হাসিনা অনুরোধ জানিয়েছেন। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠাতে ভারতের পূর্ণ সহযোগিতা চেয়েছে।

জি২০ প্রেসিডেন্সিতে, ভারত অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধি, ডিজিটাল উদ্ভাবন, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং ন্যায়সঙ্গত বৈশ্বিক স্বাস্থ্য অ্যাক্সেসের মতো বিভিন্ন বিষয়ে ফোকাস করছে। সম্মেলনে নেতারা ৯-১০ সেপ্টেম্বর প্রগতি ময়দানের আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও প্রদর্শনীতে যোগ দেবেন। নাগরিক পরিকাঠামো বাড়ান, নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়া করা হয়েছে দিল্লিতে। মেগা ইভেন্টের জন্য ৩০টিরও বেশি রাষ্ট্রপ্রধান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কর্মকর্তা আমন্ত্রিত । ১৪টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান অংশ গ্রহণ করছেন এই বৈঠকে। ১৮তম জি ২০ (G20 Summit) শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলছে নতুন দিল্লিতে। ১৯ দেশের (আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রতিনিধিরা এই সমাবেশে অংশ নেবেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের উপস্থিতিও থাকবে।