সংক্ষিপ্ত
- দূষণ রুখতে বন্ধ ইলেকট্রিক জেনারেটার
- দিল্লিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কড়া আপ সরকার
- গাড়ির ক্ষেত্রেও নতুন নীতি গ্রহণ
- পালন করার আর্জি কেজরিওয়ালের
করোনাকালে নতুন বিপদ এগিয়ে আসছে দেশের রাজধানীর দিকে। আর তারই ব্যবস্থা নিয়ে এখন থেকে সক্রিয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। অন্যবছরগুলির মত এবারই তিনি বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। বৃহস্পতিবার থেকেই সূচনা করেন তার প্রচার। আসন্ন শীতকালে দিল্লিতে ইলেকট্রিক জেনারেটার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গাড়ি থেকে দূষণ রুখতেও বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার আর্জি জানিয়েছেন রাজধানীর বাসিন্দাদের কাছে।
গ্রেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানের আওতাধীন দূষণবিরোধী পদক্ষেপগুলি দিল্লি -এনসিআর অঞ্চলে ইতিমধ্যেই কার্যকর হতে শুরু করেছে। আর এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে প্রয়োজন ছাড়া ইলেকট্রিক জেনারেটার ব্যবহার না করা। বায়ু দূষণ রুখতে দিল্লিতে ডিজেল, পোট্রোল বা কেরোসিনে চালিত সমস্ত ক্ষমতাসম্পন্ন ইলেকট্রিক জেনারেটার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে এই জেনারেটর ব্যবহার করা যেতে পারে।
অন্যিদকে এদিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন আগামী দিন থেকে সিগনালে থামার সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ করে দিতে হবে গাড়ির ইঞ্জিন। আর এই প্রকল্প যদি কার্যকর হয় তাহলে দিল্লিরতে বায়ু দূষণের মাত্রা অনেকটাই কমে যাবে। এদিন কেজরিওয়াল জানিয়েছেন দিল্লিতে নথিভুক্ত গাড়ির সংখ্যা এক কোটি। যদি ১০ লক্ষ চালকও এই পদ্ধতি অনুসরণ করেন তাহলে বায়ু দূষণ অনেকটাই কমে যাবে। আর এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে জ্বালানি সাশ্রয় হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মহামারির এই খারাপ সময় প্রকৃতকে রক্ষা করারও ডাক দিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
এক বছরেও বেশি সময় আটকে শৌচাগারে, গৃহবধূকে উদ্ধারের পর উঠছে নানা প্রশ্ন ...
করোনার প্রতিষেধকের জন্য তরুণদের অপেক্ষার প্রহর হবে লম্বা, হু-এর পক্ষ থেকে বার্তা সৌম্যা স্বামীনাথনের..
প্রতিবেশী রাজ্য যেমন হরিয়ানা আর পঞ্জাবে এই সময় ফসলের অবশিষ্ট অংশ বা খড় পোড়ানো হয়। আর সেই ধোঁয়ায় ঢাকা পড়ে দিল্লির বিস্তীর্ণ এলাকা। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এর প্রভাব চলতেই থাকে। আর সেই কারণে দূষণ মোকাবিলায় নিজের মত করেই লড়াই করছেন অরবিন্দ কেরজিওয়াল। দিল্লিবাসী যাতে দূষণ কমিয়ে আনতে সক্ষম হয় সেই জন্য বেশ কয়েক বছর ধরেই দিল্লির জোড়-বিজোড় নীতিতে গাড়ি চলছে। আর এতে অনেকটাই সুফল পাওয়া গেছে। দূষণ আরও কমাতে এবার তাই নতুন পদক্ষেপ কেজরিওয়ালের।