সংক্ষিপ্ত
- নির্বাচনের বিহারেরও গণধর্ষণের অভিযোগ
- মহিলাকে ৭ জনে মিলে ধর্ষণ
- শিশুকে জলে ফেলে হত্যা
- এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ২
নির্বাচনের বিহারেও রেহাই নেই মহিলাদের। নারী নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। কারণ বিহারের বক্সার জেলার এক দলিত মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর নারী নির্যাতনের শেষ এখানেই হয়নি। প্রমাণ লোপাটের জন্য নির্যাতিতা ও তাঁর পাঁচ বছেরের শিশুটি খালে ছুঁড়ে ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা। জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে নির্যাতিতার পাঁচ বছরের শিশুটির। আর এই ঘটনায় অনেকেই হাথরসের ঘটনার ছায়া দেখতে পাচ্ছেন। কারণ সেখানেও ধর্ষণের পর নির্যাতিতাতে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। আর বিহারেও নির্যাতনের পর নির্যাতিতাকে জলে ফেলে দেওয়া হয় প্রাণে মারার কারণে। তেমনই দাবি করেছেন নির্যাতিতা মহিলা।
বিহারের রাজধানী পাটনা থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দূরে বক্সার জেলার বাসিন্দারা এই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকলেন। নির্যাতিতা মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ ৭ জন মিলে তাঁর ওপর যৌন অত্যাচার চালিয়েছে। নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ, তিনি ব্যাঙ্কের যাচ্ছিলেন। সেই সময় সাত জনে মিলে তাঁকে অপহরণ করে তাঁকে আর তাঁর সন্তানকে অপরহণ করে। তারপর তাঁদের দুজনকেই বেঁধে ফেলে। মহিলার ওপর শারীরিক অত্যাচার করার পর প্রমাণ লোপাটের জন্য দুজনকেই হাতপা বেঁধে জলে ফেলে দেওয়া হয়ে। সেই সময় তিনি চিৎকার করেছিলেন। তাঁর গলার আওয়াজ পেয়ে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে। সেই সময় এক অভিযুক্ত ধরা পড়ে যায়। তবে মহিলার শিশুটির মৃত্যু হয় জলে ডুবে।
জাতীয় অপরাধের রেকর্ড অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ভারতে প্রতিদিন ৪০ হাজারেরও বেশি মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘঠিত হয়। যার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনাই সবথেকে বেশি। আর ২০১৮ সালের তুলনায় তা ৭ল শতাংশ বেশি বলেও দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। গত মাসেই এই রিপোর্ট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।