সংক্ষিপ্ত

 

  • দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে অনেকটাই
  • তারমধ্যেই লকডাউনের নিয়ম শিথিল করল কেন্দ্র
  • নিয়ম মেনে খোলা যাবে সব দোকানপাট
  • স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা হল বিজ্ঞপ্তি

দেশে একমাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে লকডাউন। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রয়েছে গত এক মাসে। এর মধ্যেই লকডাউন শিথিল করা নিয়ে দেশবাসীকে আশার আলো দেখাল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার থেকে অত্যাশ্যকীয় পণ্যের পাশাপাশি বাকি দ্রব্য বিক্রি করার জন্য দোকান খোলা যাবে। শুক্রবার গভীর রাতে এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। 

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ১,৬৮৪ জন। যা একদিনে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এদেশে সবচেয়ে বেশি। আক্রান্তের সংখ্যা ভারতে ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যেই লকডাউনের মেয়াদ ৩ মে পরও কেন্দ্র বাড়াতে পারে বলে বিভিন্ন মহল থেকে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু কিছুটা অবকা করে দিয়েই লকডাউনেয় নিয়ম শিথিল করার পথে হাঁটল কেন্দ্রীয় সরকার। 

করোনা যুদ্ধে সামিল দেশের ফার্স্ট লেডিও, গরিবদের জন্য মাস্ক বানাচ্ছেন সবিতা কোবিন্দ

পরীক্ষায় ব্যর্থ করোনা রুখতে প্রথম নির্মিত ওষুধ 'রেমডেসিভির', 'হু'-এর রিপোর্ট ঘিরে শোরগোল

সামাজিক দূরত্বের বিধি মানতে হবে ২০২২ পর্যন্ত, আগামী শীতে ফের মাথাচাড়া দেবে ভাইরাস

শুক্রবার গভীর রাতে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, শনিবার থেকে অপরিহার্য নয় এমন পণ্য বিক্রির দোকানগুলিও পুনরায় খোলা যাবে। তবে শপিং কমপ্লেক্স এবং মলগুলি বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি, এই নিয়ম হটস্পটের জন্য একেবারেই কার্যকর নয়। সেখানে যেমন লকডাউন ছিল তেমনই থাকবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মনে করছে বর্তমানে দেশে সংক্রমণের সময় অনেকটাই বেড়েছে। তাছাড়া, হটস্পট ছাড়া অন্য জায়গায় নতুন করে সংক্রমণে খবর পাওয়া যাচ্ছে না।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের শুক্রবার গভীর রাতে ট্যু ইট করে জানায়, হটস্পট ছাড়া অন্য এলাকায় পুরসভার সীমানার মধ্যের বাজার ও দোকানগুলি খোলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে সব নিয়ম কঠোরভাবে মানতে হবে নতুবা এই ছাড় যে কোনও সময় তুলে নেওয়া হতে পারে। 

 

 

কেন্দ্রের এই বিজ্ঞপ্তির ফলে, আবাসিক কমপ্লেক্স কিংবা বাজারের স্থানীয় দোকান এবং ছোট ব্যবসা শনিবার থেকে পুনরায় খোলা যেতে পারে। তবে মাস্কের যথাযথ ব্যবহারের সঙ্গে সামাজিক দূরত্বের নিয়মগুলি মানতে হবে। এছাড়াও, এই দোকানগুলি তাদের মোট কর্মীর  সর্বাধিক ৫০ শতাংশ নিয়ে কাজ করতে পারবে। তবে এই নিয়ম কেবল গ্রিন জোনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। 

স্থানীয় সেলুন এবং পার্লারদের শনিবার থেকে দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বড় দোকান, ব্র্যান্ডেড বিপণি ও মার্কেট প্লেস একটি খোলার সম্ভাবনা নেই। মদের দোকানগুলির ক্ষেত্রেও আগের নিয়মই লাগু থাকবে। অর্থাৎ সারা দেশেই তা এখন খুলছে না।