সংক্ষিপ্ত
এস জয়শঙ্কর ভারত মালদ্বীপের সম্পর্কের অবনতির দিকগুলো তুলে ধরেন ও নিজের ক্ষোভ উগরে দেন। জয়শঙ্কর বলেন, ভারত সবসময় মালদ্বীপের উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করত। আপনার দেশ বরাবর ভারত থেকে সবরকমের সহায়তা পেয়ে এসেছে।
অবশেষে মালদ্বীপের সামনে তাদের আচরণ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিল ভারত। বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মালদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী মুসা জামিরের সঙ্গে বিশেষ কথোপকথন করেন। মালদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী মুসা জমির দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো ভারত সফর করছেন। বৃহস্পতিবার তিনি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাথে বৈঠক করেন। এই সময়, এস জয়শঙ্কর ভারত মালদ্বীপের সম্পর্কের অবনতির দিকগুলো তুলে ধরেন ও নিজের ক্ষোভ উগরে দেন। জয়শঙ্কর বলেন, ভারত সবসময় মালদ্বীপের উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করত। আপনার দেশ বরাবর ভারত থেকে সবরকমের সহায়তা পেয়ে এসেছে।
এস জয়শঙ্করের বক্তব্য
বিদেশমন্ত্রী বলেন, এই বৈঠকটি পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কের রূপরেখা নির্ধারণের একটি সুযোগ। তিনি বলেন, ঘনিষ্ঠ ও খুব কাছের প্রতিবেশী হিসেবে আমাদের সম্পর্ক অবশ্যই পারস্পরিক স্বার্থ ও পারস্পরিক সংবেদনশীলতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। ভারত ও মালদ্বীপ সম্পর্কে নয়াদিল্লি ‘নেবারহুড ফার্স্ট’ নীতি এবং ‘সাগর’ পদ্ধতির প্রেক্ষাপটে গুরুত্ব দেয়।
জয়শঙ্কর বলেন, মালদ্বীপকে উন্নয়ন সহায়তা দেওয়া প্রধান দেশ ভারত। আমাদের প্রকল্পগুলি থেকে আপনার দেশের মানুষ অনেক উপকৃত হয়েছে। আমরা জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অবদান রেখেছি। এর মধ্যে রয়েছে পরিকাঠামো প্রকল্প এবং সামাজিক উদ্যোগ থেকে শুরু করে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সুবিধা।
ভারত মালদ্বীপের নিরাপত্তা বাড়াতে কাজ করেছে
বিদেশমন্ত্রী বলেন, এর আগেও আমরা পারস্পরিক স্বার্থ বজায় রাখার শর্তে আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। ভারত বহু অনুষ্ঠানে মালদ্বীপকে সহায়তা দেওয়া প্রথম দেশগুলির মধ্যে একটি। জয়শঙ্কর বলেন, আমাদের সহযোগিতা আপনার দেশের নিরাপত্তা ও কল্যাণকে আরও শক্তিশালী করেছে। পারস্পরিক ভাবনা চিন্তার আদানপ্রদান থেকে সংস্কৃতিগত বিনিময়, বাণিজ্যিক বিনিময় মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক গড়ে তোলার অন্যতম প্রধান চাবিকাঠি ছিল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।