সংক্ষিপ্ত
এখন পর্যন্ত আলোচনার ফলে প্যাংগং সো (লেক), গালওয়ান সমস্যার সমাধান হয়েছে। তবে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ১৪তম দফা আলোচনায় নতুন কোনো অগ্রগতি হয়নি।
এখনও পূর্ব লাদাখের এলাকাগুলির সাথে সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান হয়নি। হটস্প্রিংয় সংলগ্ন ১৫ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট থেকে চিনা সেনাদের সরিয়ে দেওয়া যায়নি। সম্প্রতি কাংকা লা-র কাছে গোগরা হটস্প্রিং এলাকায় রীতিমত ঘাঁটি তৈরি করে অবস্থান করেছে চিনা সেনা।
সেখান থেকে চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া অন্যতম ইস্যু ছিল ভারতের কাছে। একই সঙ্গে দৌলগবেগ-ওল্ডি সেক্টরের ডোপসাং বুলেজ ও চার্ডিং নল্লায় ভারতীয় সেনাদের টহলের অধিকার পাওয়া। এই সব ইস্যুকে সামনে রেখে ১১ই মার্চ বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত ও চিন। শুক্রবার ভারত ও চিন উচ্চ-স্তরের সামরিক আলোচনার ১৫ তম দফা অনুষ্ঠিত হবে।
এখন পর্যন্ত আলোচনার ফলে প্যাংগং সো (লেক), গালওয়ান সমস্যার সমাধান হয়েছে। তবে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ১৪তম দফা আলোচনায় নতুন কোনো অগ্রগতি হয়নি।
উভয় দেশই এখন সংঘর্ষপ্রবণ অঞ্চলের রেজোলিউশন অর্জনের দিকে মনোনিবেশ করবে। একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানের জন্য উভয় পক্ষের সাম্প্রতিক বিবৃতিগুলি আশাব্যঞ্জক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতীয় পক্ষ থেকে আলোচনার নেতৃত্ব দেবেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিন্দ্য সেনগুপ্ত, যিনি এখন XIV কর্পসের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। XIV কর্পস লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সুরক্ষার দায়িত্বে রয়েছে। কোর কমান্ডারদের মধ্যে ১৪ তম দফা আলোচনা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, কিন্তু কোন অগ্রগতি হতে পারেনি।
গত বছর ভারত চিন সংঘর্ষের পর এই এলাকায় সামরিক উত্তাপ এখনও কমেনি। প্যাংগং লেক এবং গোগরা হাইটসের অচলাবস্থাও আলোচনায় ছিল। ভারত ডিবিও এলাকা এবং সিএনএন জংশন এলাকার রেজোলিউশনেরও দাবি করে আসছে যা গত বছরের এপ্রিল-মে সময়সীমার আগে ছিল।
উভয় পক্ষই ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ এলাকায় বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে। পরিকাঠামো নির্মাণও শুরু করেছে দুই দেশ। চিন LAC-এর খুব কাছে সেনাদের জন্য বাঙ্কার তৈরি করে লাদাখের উল্টো দিকের এলাকায় গতিবিধি সক্রিয় করেছে। ভারতও সেনাদের জন্য রাস্তা ও বাঙ্কার নির্মাণের ব্যবস্থা করে রেখেছে। মনে করা হচ্ছে এই ব্যবস্থায় দুলক্ষ সেনা প্রচন্ড শীতেও সেখানে থাকতে পারবে।
সেনা বাহিনী স্তরের ১৪ তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল চিনের দিকে। বৈঠক শেষ হয় রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ। ভারতের হয়ে এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিন্দ্য সেনগুপ্ত। চিনের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন জিনজিয়াংএর সামরিক প্রধান মেজর জেনারেল ইয়াং লিন।