সংক্ষিপ্ত

বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর ভারত-চীন পেট্রোলিং চুক্তি নিয়ে বড় দাবি করেছেন। সেনাবাহিনীর দৃঢ়তা এবং কূটনীতির মাধ্যমে সাফল্য এসেছে, কিন্তু ভবিষ্যতে সম্পর্ক কি উন্নত হবে?

ভারত-চীন সীমান্তে নতুন চুক্তি: ভারত-চীন সীমান্তে বহু বছর ধরে চলে আসা অচলাবস্থার অবসান হতে চলেছে। এলএসিতে ভারত-চীনের মধ্যে পেট্রোলিং নিয়ে হওয়া চুক্তি নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বড় দাবি করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে দুটি কারণে ভারত পেট্রোলিং চুক্তি করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেছেন যে দুটি দেশই আস্থা ফিরে পাওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুটি দেশকে একে অপরের সাথে কাজ করার জন্য প্রস্তুত হতে সময় লাগবে।

বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর, শনিবার পুনের ফ্লেম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছিলেন। জয়শঙ্কর এখানে ভারত-চীন সীমান্তে পেট্রোলিং চুক্তি সম্পর্কে জানান। তিনি জানান যে চীনের সাথে সাফল্য সম্ভব হয়েছে কারণ সেনাবাহিনী ভারতকে তার কথা বলার জন্য সক্ষম করে তুলেছে। সেনাবাহিনীও দেশের সুরক্ষার জন্য প্রতিটি মুহূর্তে প্রস্তুত ছিল। কূটনীতিও তার ভূমিকা পালন করেছে। আমরা আমাদের কথা থেকে পίσে হটিনি।

ভারত-চীনের ভবিষ্যৎ থেকে কী আশা করা যায়?

জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে পূর্ব লাদাখের দেপসাং ও ডেমচোক অঞ্চলে টহল এবং বিচ্ছিন্নতা চুক্তি, ভারত-চীন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ থেকে কী আশা করা যেতে পারে? বিদেশমন্ত্রী বলেছেন: ২০২০ সাল থেকে সীমান্তে পরিস্থিতি খুবই অশান্ত। এর সামগ্রিক সম্পর্কের উপর খুবই নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে আমরা সমাধান খোঁজার উপায় নিয়ে চীনের সাথে আলোচনা করছি। সমাধানের অনেক দিক আছে কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সৈন্যদের পিছিয়ে যাওয়া। বর্তমানে, মনোযোগ সৈন্যদের পিছিয়ে যাওয়ার উপর। ২০২০ সালের পর কিছু কিছু অঞ্চলে ঐকমত্য হয়েছে কিন্তু টহল বন্ধ করা একটি বিষয় হয়ে রয়েছে, যা নিয়ে দুই বছর ধরে আলোচনা চলছে। ২১শে অক্টোবর যা ঘটেছে তা হল দেপসাং এবং ডেমচোকে আমরা এই বোঝাপড়ায় পৌঁছেছি যে টহল আবার আগের মতোই শুরু হবে।