সংক্ষিপ্ত

বারবার আলোচনার টেবিলে সমাধানসূত্র খুঁজছে নয়াদিল্লি। তবে এতে লজ্জা নেই চিনের।

পূর্ব লাদাখের চলমান অচলাবস্থার (stand-off on the Line of Actual Control) সমাধান এবং হট স্প্রিংস এলাকায় সেনা অবস্থান নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত (India) ও চিন (China)। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এই দুই দেশ ১৪ তম (14th round talks) কর্পস কমান্ডার স্তরের বৈঠকে বসবে বলে খবর। চিনের তরফ থেকে এই বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ আসতে পারে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। তার পরেই দিন নির্দিষ্ট করা হবে। 

বিশেষ সূত্রে খবর যে এই সময়টিই ভারতের জন্য বৈঠকে বসার ক্ষেত্রে উপযুক্ত হবে কারণ সশস্ত্র বাহিনী ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী পালনে ব্যস্ত থাকবে। উল্লেখ্য, পূর্ব লাদাখ এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় অচলাবস্থা সমাধানের জন্য এখনও পর্যন্ত ১৩টি রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দুই পক্ষই হট স্প্রিংস এলাকায় রেজোলিউশনের লক্ষ্যে বৈঠকে বসতে চলেছে। গত বছর ভারত চিন সংঘর্ষের পর এই এলাকায় সামরিক উত্তাপ এখনও কমেনি। প্যাংগং লেক এবং গোগরা হাইটসের অচলাবস্থাও আলোচনায় থাকবে। ভারত ডিবিও এলাকা এবং সিএনএন জংশন এলাকার রেজোলিউশনেরও দাবি করে আসছে যা গত বছরের এপ্রিল-মে সময়সীমার আগে ছিল। 

উভয় পক্ষই ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ এলাকায় বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে। পরিকাঠামো নির্মাণও শুরু করেছে দুই দেশ। চিন LAC-এর খুব কাছে সেনাদের জন্য বাঙ্কার তৈরি করে লাদাখের উল্টো দিকের এলাকায় গতিবিধি সক্রিয় করেছে। ভারতও সেনাদের জন্য রাস্তা ও বাঙ্কার নির্মাণের ব্যবস্থা করে রেখেছে। মনে করা হচ্ছে এই ব্যবস্থায় দুলক্ষ সেনা প্রচন্ড শীতেও সেখানে থাকতে পারবে। 

1971 War: ভারতকে পাকিস্তানের চেয়ে অনেক গুণ এগিয়ে দিয়েছিল একাত্তরের যুদ্ধ

Indian Army: সাধারণের ওপর হামলায় জড়িত সব জঙ্গি খতম, কাশ্মীরে রেকর্ড সেনার

এদিকে, অক্টোবর মাসেই ১৩ তম কর্পস কমান্ডার স্তরের বৈঠক করে ভারত। পূর্ব লাদাখে সেনা অবস্থান নিয়ে সমাধান খুঁজতেই এই বৈঠক। তবে ১৪ তম বৈঠকের সমাধান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ একদিকে ভারত যখন শান্তি ও সীমান্তে স্থিতাবস্থা চাইছে, তখন চিন বারবার ভারত সীমান্তের খুব কাছে চলে আসছে। সূত্র জানিয়েছে যে সাম্প্রতিক অতীতে, চিনা সেনা আগের অবস্থানে ফিরে এসেছে। ইতিমধ্যেই বিতর্কিত এলাকায় চিনা সেনার প্রবেশ ঘটেছে। সূত্রের খবর উত্তরাখণ্ডের বারহোতি এবং অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে দেখা যায় চিনা সেনার গতিবিধি। কোনওরকমে সেখানে সংঘর্ষ এড়ানো গিয়েছে। 

এর আগে, সেনাপ্রধান উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিলেন যেভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা সংখ্যা বাড়াচ্ছে চিন, তা বেশ উদ্বেগের। নতুন করে চিন কি কোনও চাল চালছে, প্রশ্ন উঠছে। এমনকী ভারতে সীমান্ত পেরিয়ে চিনা অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে এমন সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেছিলেন যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত তার এলাকায় সেনা মোতায়েন রেখেছে। চিনা সেনা ইচ্ছাকৃতভাবে এলএসিতে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করতে চাইছে। ভারত সতর্ক রয়েছে। কোনও রকম উস্কানিমূলক আচরণ বরদাস্ত করা হবে না।